শিরোনাম
দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গুলশান থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
গুলশান থানায় হস্তান্তরের পর তাদের আদালতে নেওয়া হচ্ছে। থানা সূত্রে জানা গেছে, ইভ্যালির রাসেল-শামীমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করবে পুলিশ
এর আগে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, ইভ্যালি নানা প্রলোভনের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়সহ ইভ্যালিকে বিক্রি অথবা দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিলো প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলের।
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল র্যাবের কাছে জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির হাজার কোটি টাকা দেনা রয়েছে।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গ্রেপ্তার রাসেল ও তার স্ত্রীর ব্যবসায়িক অপকৌশল ছিল নতুন গ্রাহকের উপর দায় চাপিয়ে দিয়ে পুরাতন গ্রাহক ও সরবরাহকারীর দায়ের (লায়াবেলিটিস) অল্প অল্প করে পরিশোধ করা। অর্থাৎ ‘সায় ট্রান্সফার’ এর মাধ্যমে দুরভিসন্ধিমূলক অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছিল ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির নেওয়ার্কে যত গ্রাহক তৈরি হত, দায় তত বাড়ত। গ্রেপ্তার রাসেল জেনেশুনে এ নেতিবাচক স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে মোহাম্মদপুরে স্যার সৈয়দ রোডের নিলয় কমপ্রিহেনসিভ হোল্ডিংয়ের (হাউজ নম্বর ৫/৫এ) বাসা থেকে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে আটক করে র্যাব।