শিরোনাম
মাগুরায় চার খুনের ঘটনার তিন দিন পর ৬৮ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে এক পক্ষ। সূত্র: আরটিভি
সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকালে মাগুরা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন নিহত সবুর মোল্লা, কবির মোল্লা ও রহমান মোল্লার ভাই আনোয়ার হোসেন মোল্লা।
জানা গেছে, আগামী ১১ নভেম্বর মাগুরা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ও প্রতিপক্ষ সামাজিক দলের প্রার্থী সৈয়দ হাসানের সমর্থকদের মধ্যে গত শুক্রবার বিকেলে সংঘর্ষ হয়। এতে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের সমর্থকদের হামলায় প্রতিপক্ষের সবুর মোল্লা, কবির মোল্লা ও রহমান মোল্লার নামে ৩ ভাই নিহত হন। অপর ইউপি সদস্য প্রার্থী সৈয়দ হাসান আলী পক্ষের হামলায় নিহত হন অপর পক্ষের ইমরান হোসেন নামে এক যুবক। এ সংঘর্ষে আহত হয় উভয় পক্ষের ২০ জন।
ঘটনার পরদিন গত শনিবার সন্ধ্যার পর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে জগদল গ্রামে প্রশাসন পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। পরে জানাজা শেষে শনিবার রাতেই একই পরিবারের তিন ভাই সবুর মোল্লা, কবির মোল্লা ও রহমান মোল্লার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। অন্যদিকে সংঘর্ষে নিহত ইমরান হোসেনকে দাফন কার হয় জগদল রুপাটি গ্রামে কবরস্থানে।
সদর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম বলেন, চার খুনের ঘটনায় গোটা গ্রামে পুরুষশূন্য অবস্থা বিরাজ করছে। দূর-দূরান্ত থেকে নারী আত্মীয়-স্বজনরা এসে বাড়িঘর পাহারা দিচ্ছে। অধিকাংশ পরিবার লুটপাটের আশঙ্কায় বাড়িঘরের মালামাল গরু, ছাগল আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে গোটা এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েত করা হয়েছে।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, চারজনের মধ্যে সবুর মোল্লা, কবির মোল্লা ও রহমান মোল্লা খুনের ঘটনায় তার ভাই আনোয়ার হোসেন মোল্লা বাদী হয়ে তার তিন ভাইকে হত্যার ঘটনায় ৬৮ জনকে আসামি করে সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকালে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামকে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে।
তিনি আরও জানান, প্রতিপক্ষের অপর নিহত ইমরান হোসেন হত্যার ঘটনায় এখনও কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে তার মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে আজই থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।