শিরোনাম
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যা মামলায় স্বামীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আফজাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন বেলা ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল-১-এর বিচারক মো. হাবিবুল্লাহ এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে ইমান আলী, কমলা খাতুন, সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- খোকন মিয়া (৩৭), জালাল মিয়া (৪৩) ও জরিনা খাতুন (৩৯)৷ তারা সবাই করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের খৈলাকুরী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে হেনা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের বন্ধগোমরা এলাকার বাসিন্দা ইমান আলীর ছেলে খোকনের। বিয়ের পরে তাদের পরিবারে দুটি মেয়ের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকেই হেনার ওপর স্বামী খোকনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এ সময় হেনা অস্বীকৃতি জানালে ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর আনুমানিক রাত ২টার দিকে হেনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারা। এ ঘটনায় পরদিন রাতে হেনার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় স্বামীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জালাল মিয়াকে ৩০ হাজার, খোকন মিয়াকে ৫০ হাজার ও জরিনা খাতুনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।