কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন

ফানাম নিউজ
  ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:১৫

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার একটি হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন এবং দুইজনের ১০ বছর কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১এর বিচারক তাজুল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

রায়ে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সংগ্রামপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইসলাম মন্ডলের ছেলে লিয়াকত আলী ওরফে নিয়ত আলী (৭০) এবং তার ছেলে আশারত আলী ওরফে নওশেদ (৫০)।

এ ছাড়া ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- একই গ্রামের বাসিন্দা আরজেদ আলীর ছেলে এনামুল (৫০) ও আমির হামজার ছেলে মিন্টু আলী (৩৩)।

আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১১ জুন বিকেলে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ পরিকল্পিত হামলা করে উপজেলার সংগ্রামপুর গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলামকে (২৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৫ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা করেন দৌলতপুর থানায়।

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর তারিখে ১৫জনের বিরুদ্ধে সাইফুল হত্যায় জড়িত অভিযোগ এনে আদালতের চার্জশিট দাখিল করেন দাখিল করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক আকিদুল ইসলাম।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, দৌলতপুর থানার জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে পূর্ব থেকেই বিবদমান দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাইফুল নামের যুবককে হত্যা করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় লিয়াকত আলী ওরফে নিয়ত আলী (৭০) এবং তার ছেলে আশারত আলী ওরফে নওশেদকে (৫০) যাবজ্জীবনসহ পৃথকভাবে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এ ছাড়া এনামুল (৫০) ও মিন্টু আলীকে ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানার টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আরও এক বছর সাজা খাটতে হবে তাদের। এ ছাড়া এ মামলায় লিটন, লালচাঁদ ও রুবেলকে পৃথকভাবে ৩ বছর সাজার আদেশসহ বাকি ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।