শিরোনাম
করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার মামলায় ১১ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন সেশন জজ আদালতে ডা. সাবরিনা আপিল করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।
তিনি বলেন, ডা. সাবরিনার আপিল আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন সেশন জজ আদালতের জজ (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দা হাফসা ঝুমা।
এর আগে, গত ১১ জুলাই এ মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৮ আসামির ১১ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
মামলার বাকি ৬ আসামি হলেন- আরিফুলের বোন জেবুন্নেছা রিমা, সাবেক কর্মচারী হুমায়ুন কবির হিমু ও তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী, জেকেজির সমন্বয়ক আবু সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির কর্মচারী বিপুল দাস ও শফিকুল ইসলাম রোমিও।
রায়ে বিচারক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এই অপরাধে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
রায়ে কোভিড সনদ জালিয়াতি এবং জাল সনদকে আসল হিসেবে দেখানোর দায়ে দুটি ধারায় চার বছরে করে এবং প্রতারণার ধারায় তিন বছরের সাজা হয়েছে তাদের। তিন ধারার সাজা পর্যায়ক্রমে কার্যকর হবে। ফলে আসামিদের সকাইকে ১১ বছর করে জেলে কাটাতে হবে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে ভুয়া রিপোর্ট দেয়। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করলে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও এবং জেবুন্নেসা।
চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন বলে জানানো হয়। একই বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।