শিরোনাম
ব্যাংক ও আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত পি কে হালদার হিসেবে পরিচিত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের অন্যতম সহযোগীর দুই মেয়ে গতকাল বুধবার রাতে মুক্তি পেয়েছেন।
এদিন দুই মেয়ের পরিবারের চার সদস্যের পাসপোর্ট ও দুই সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার পর তাদের র্যাব হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে (কোম্পানি কোর্ট) বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুই মেয়ের আইনজীবী মো. আবু তালেব এ তথ্য জানান।
পিকে হালদারের সহযোগী পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (পিএলএফএসএল) সাবেক পরিচালক মো. খবির উদ্দিনের দুই মেয়ে হচ্ছেন শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদ।
বলে রাখা ভালো, গত ৭ মার্চ একই বেঞ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিংয়ের ঋণখেলাপি ৬৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে তলব করেন। হাজির না হলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কথাও সেদিন বলেন আদালত। ওই তালিকায় ছিলেন শারমিন ও তানিয়া। তারাসহ ৩০ ব্যক্তি হাজির না হওয়ায় গত ১৯ এপ্রিল আদালত তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।
গতকাল ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডি ও শ্যামলী থেকে মো. খবির উদ্দিনের দুই মেয়ে শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩। দুপুরে তাদের হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে হাজির করা হয়। আদালত তাদের শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিতে নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, পিএলএফএসএল খবির উদ্দিনসহ তার পরিবারের ১১ সদস্যের কাছে ১৯৬ কোটি টাকা পাবে বলে দাবি করছে। এই ঋণের ৫ শতাংশ অর্থ ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে দেওয়া বলা হয়। এরপর তাদের র্যাব হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।