শিরোনাম
অর্থপাচার মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত। ফলে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
রোববার (২১ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক বদরুল আলম ভূঁইয়া তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন এবং সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
অপর চার আসামি হলেন-পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলম।
পাপিয়া দম্পতির আইনজীবী শাখাওয়াত উল্যাহ ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সে সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬শ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
পরের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। শেরেবাংলা নগর থানার মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলা।
২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর অর্থপাচার মামলায় পাপিয়াসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন।
২০২০ সালের ১২ অক্টোবর শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এতে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে ২০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।