শিরোনাম
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বান্ধবী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাহিদা রুনাইকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।
তার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার (১৯ জুন) বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল আলিম মিয়া জুয়েল। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
এর আগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্রায় ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এরপর ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর আদালত পি কে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
পি কে হালদার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা, ফাস ফাইন্যান্স থেকে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, পি কে হালদারের অর্থপাচারের বিষয়গুলো দেখভাল করতো নাহিদা। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারের ওপর মহলকে ম্যানেজ করতো সে। আর এসব কাজের পুরস্কার হিসেবে নাহিদাকে শূন্য থেকে কোটিপতি বানায় পি কে হালদার। তার টাকা পাচারেরো অন্যতম সহযোগী এই নাহিদা রুনাই। কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কত টাকা আত্মসাৎ ও পাচার হচ্ছে সেই হিসাবও রাখতো সে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন মহলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করতে রুনাইয়ের দক্ষতা অপরিসীম। সে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করতে সিদ্ধহস্ত।
ওই মামলায় ২০২১ সালের ১৬ মার্চ বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে নাহিদা রুনাইকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর গত ৯ মে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত নাহিদা রুনাইয়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। সে নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে গত ২৫ এপ্রিল জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে নাহিদা রুনাই।
সূত্র: বাংলাট্রিবিউন