শিরোনাম
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় বতিহালা গ্রামের ব্যবসায়ী মো. উজ্জ্বল মিয়া হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল।
মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক মো. মনির কামাল এ রায় দেন।
মামলাটিতে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন— নওশাদ, শাহাবুদ্দিন ও সবুজ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— মরম, মহিম, কারিম, জসিম উদ্দিন, মিয়া হোসেন ও জালাল উদ্দিন ওরফে চুট্টু মেম্বার।
দণ্ডের পাশাপাশি সব আসামিকে ২০ টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসলাম, এমদাদুল, কুদরত আলী ও হাছেন আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামি রশিদ মামলার বিচার চলাকালে মারা যান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, উজ্জ্বল মিয়ার সঙ্গে আসামিদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে পাশের এলাকায় বার্ষিক দোলযাত্রা মেলা থেকে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন উজ্জ্বল মিয়া। তার সঙ্গে ছিলেন নজর আলী ও কালাম। বতিহালা এবতেদায়ি মাদ্রাসার কাছে পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উজ্জ্বলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
উজ্জ্বল ও সঙ্গীয়দের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। উজ্জ্বলকে প্রথমে ধোবাউড়া হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ৩০ মার্চ উজ্জ্বলের বড়ভাই কুদরত আলী বাদী হয়ে ধোবাউড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটিতে ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি।
মামলার বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ২৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান। আসামিদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী কাজী মো. নজীব উল্লাহ হিরু, এমএ ছালাম প্রধান। মামলার রায়ে খুশি উজ্জ্বলের ভাই কুদরত আলী।
তিনি জানান, আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার পেয়েছি।
সূত্র: যুগান্তর