শিরোনাম
রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলায় সুমন সিকদার ওরফে মুসাকে ১৫ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ। এই মামলায় এর আগে গ্রেপ্তার ১৩ জনকে পর্যায়ক্রমে রিমান্ডে এনে মুসার মুখোমুখি করবে ডিবি পুলিশ।
শুক্রবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবি প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুটার মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে তার দেয়া জবানবন্দিতে মূল পরিকল্পনা ও সমন্বয়কারী হিসেবে উল্লেখ করেছে। তারপর থেকেই মুসাকে আমরা খুঁজছিলাম। টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঘটনার আগেই মুসা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। আমরা তদন্তের এক পর্যায়ে জানতে পারি মুসা ওমানে অবস্থান করছে। তখন আমরা ইন্টারপোল বাংলাদেশ ডেস্ক ওমানে ইন্টারপোল ডেস্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওমান পুলিশ মুসাকে আটক করার পর সেখানকার পুলিশ আমাদের এসকর্ট পাঠিয়ে নিয়ে আসার জন্য বলে। আমরা ডিবি মতিঝিল বিভাগে দুজন এডিসি ও পুলিশ সদর দপ্তরে ইন্টারপোল ডেস্কের একজন সহকারী কমিশনারকে ওমান পাঠানো হয়। তারা গতকাল মুসাকে নিয়ে দেশে ফেরেন।
তিনি বলেন, আমরা মুসাকে ১৫ দিনের রিমান্ড চাইব। আগে গ্রেপ্তার আসামিদেরকেও রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আগে গ্রেপ্তার আসামিদের দেয়া তথ্য ও মুসা কাছে পাওয়া তথ্য যাচাই বাচাই করা হবে, মুখোমুখি করা হবে।
টিপু হত্যায় মুসাকে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী বলে দাবি করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু নিহত টিপুর স্ত্রী বারবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, মুসা প্রধান পরিকল্পনাকরী হতে পারে না। এর পেছনে অন্য কারো হাত রয়েছে।
এ বিষয়ে ডিবি প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হাফিজ আক্তার বলেন, মুসাকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। তখন অনেক তথ্যই বেরিয়ে আসবে।
শুটারকে বহনকারী মোল্লা শামীম দেশ ছেড়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে হাফিজ আক্তার বলেন, আমরা সব তথ্য যাচাই করছি। তার অবস্থান সনাক্তের চেষ্টা চলছে।
সূত্র: দেশ রূপান্তর