শিরোনাম
করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় ধীরে খুলছে বিভিন্ন স্তরের সরকারি চাকরির নিয়োগজট। আগে থেকে প্রক্রিয়ায় থাকা নিয়োগ পরীক্ষাগুলো পুরোদমে শুরু হয়েছে। তবে কচ্ছপ গতিতে আসছে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। এর মধ্যে বেশির ভাগ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পদের চাহিদা খুবই কম। এতে সরকারি চাকরির বয়সসীমার শেষ প্রান্তে থাকা বেকার তরুণরা বেশ হতাশ। এসব চাকরির সুযোগ এমনিতেই সীমিত।
নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতায় অনুমোদিত পদের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ খালি থাকে বছরের পর বছর। করোনা সংক্রমণে এই সংখ্যা আরও বেড়েছে। যদিও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারি চাকরির বয়সীমায় পৌঁছানো বেকারদের জন্য সম্প্রতি ছাড় দিয়েছে সরকার। প্রজাতন্ত্রের গণকর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নের প্রধান দায়িত্ব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। ‘স্ট্যাটিস্টিকস্ অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস’ শীর্ষক একটি প্রকাশনা প্রতিবছর বের করে এই মন্ত্রণালয়ের সংস্কার ও গবেষণা অনুবিভাগ।
সর্বশেষ প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৮টি, শূন্যপদ ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫টি। এর মধ্যে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ১৭ হাজার ৭৩৯টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে শূন্যপদ ৫ হাজার ৬৮টি। অধিদপ্তরগুলোতে ১৪ লাখ ৯ হাজার ৬২৬টি পদের বিপরীতে শূন্য ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৬টি। বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এইএনও ও এসি ল্যান্ড অফিসে ৪৭ হাজার ৩৩টি পদের বিপরীতে শূন্য ১৪ হাজার ৮৫১টি।
এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও করপোরেশনের অনুমোদিত ৪ লাখ ১১ হাজার ৪৭০টি পদের বিপরীতে শূন্য ১ লাখ ২৭ হাজার ৭০০। পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৬-২০১৭ সালে সর্বশেষ শ্রম জরিপের তথ্য অনুযায়ী দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৮০ হাজার। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম (৯ম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব) ও দ্বিতীয় শ্রেণির (১০ম গ্রেড) কর্মচারী বাছাই করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ তুলনামূলক কম ওঠে। এসব পদে শূন্যপদের সংখ্যাও কম। তৃতীয় (১১ থেকে ১৬ গ্রেড) ও চতুর্থ শ্রেণির (১৭ থেকে ২০তম গ্রেড) কর্মচারী নিয়োগের দায়িত্ব স্ব স্ব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরের হাতে।
এভাবে পৃথক নিয়োগ ব্যবস্থা থাকার কারণে নীচু পদের নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। যে কারণে যে কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে ধীরগতি, মামলাসহ বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়ে বছরের পর বছর পদ খালি পড়ে থাকে। সম্প্রতি অস্বচ্ছতার অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ২ হাজার ৬৮৯ জনের একটি নিয়োগ বাতিল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে প্রতিবছর সৃষ্টি হওয়া নতুন পদে নিয়োগ দেওয়ার ধীরগতিও শূন্যপদ বাড়ার আরেকটি কারণ বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগও পিএসসির মাধ্যমে করা যায় কিনা-সে বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির কাছে মতামত চাওয়া হয়েছিল। পিএসসি ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা বাড়ালে এসব নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। করোনা শুরুর আগে এ সংক্রান্ত মতামত তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসির মতামতের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে একটি কমিটিও গঠন করেছে।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটির কাজ তেমন এগোয়নি। মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নিয়োগ নিয়েই পিএসসি হিমশিম অবস্থায় থাকে। সেখানে তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ তাদের হাতে গেলে বড় নিয়োগজট লেগে যেতে পারে। এ কারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ‘ধীরে চলো নীতি’ অনুসরণ করছে। এসব নিু শ্রেণির পদের জন্য পৃথক একটি পিএসসির আলোচনা বিভিন্ন সময়ে হয়েছে। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কেন্দ্রীয়ভাবে এক জায়গা থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ নিশ্চিত করা গেলে একদিকে দুর্নীতি কমবে, অন্যদিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গতি আসবে।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বুধবার বলেন, একজন সরকারি কর্মচারী দীর্ঘদিন সরকারকে সেবা দেন। এ কারণে অনেক যাচাই-বাছাই করে প্রার্থী বাছাই করা হয়। তিনি বলেন, সময় বেশি লাগলেও ৩০-৩৫ বছরের জন্য স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য কর্মী যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া উচিত নয়।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া বলেন, প্রতিবছর কতজন চাকরিজীবী অবসরে যাবেন তা হিসাব করে আগে থেকে উদ্যোগ নিলে নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতা কমানো সম্ভব। তিনি বলেন, এখন প্রযুক্তির যোগ। একজন কর্মচারী চাকরিতে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার অবসরের তারিখও নির্ধারণ হয়ে যায়। এই বিষয়ে পরিকল্পিত উপায়ে উদ্যোগ নেওয়া শুরু করলে সহজেই নিয়োগজট কেটে যাবে।
ছোট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বেশি : সরকারি চাকরিতে নিয়োগে বড় যে কয়েকটি জায়াগা আছে তার মধ্যে অন্যতম ক্ষেত্র বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রতিষ্ঠানটিতে মোট পদ আছে ৪৭ হাজার ৩৬০টি। বর্তমানে শূন্যপদ আছে ২৩ হাজার ৩৪৩, যা মোট জনবলের প্রায় অর্ধেক। আগামী তিন বছরে ১৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের পরিকল্পনা করছে রেলওয়ে।
এর মধ্যে চলতি মাসে সহকারী স্টেশন মাস্টার পদে মাত্র ২৩৫ জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। রেল মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চলতি বছরের শুরুর দিকে ১০-১২ হাজার জনবল নিয়োগের পরিকল্পনার কথা মন্ত্রী বলেছিলেন। নিয়োগ পরিকল্পনার মোট সংখ্যা সময়ে সময়ে বাড়ে-কমে কিন্তু বাস্তবে সেটার প্রতিফল দেখা যায় না। এদিকে আগামী তিন বছরে আরও প্রায় তিন হাজার চাকুরে অবসরে যাবেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ওয়্যারলেস অপারেটর পদে ৬ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আবেদনের শেষ দিন ২৫ অক্টোবর। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসে ডুবুরি পদে ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সরাসরি সাক্ষাৎকারে আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ৩ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা স্থানে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বন অধিদপ্তরের ২১ জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট পদে ৪ জন ও অফিস সহায়ক পদে ১৭ জনকে নেওয়া হবে।
আবেদন করা যাবে আগামী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায় মিলিয়ে ৯শ পদের মধ্যে প্রায় পৌনে ৩শ পদই শূন্য। গত রোববার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি শূন্যপদে জনবল নিয়োগে তাগিদ দিয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ থেকে পাশ করে চাকরির চেষ্টায় থাকা মাসুদ হাসান মঙ্গলবার বলেন, ছোট আকারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ভালোই আসছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বড় আকারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসা প্রয়োজন।
মাঝারি আকারের দু-একটি বিজ্ঞপ্তিও এসেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে ২ হাজার ২২৩ জন নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ২৮টি জেলার প্রার্থীরা আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে টিআরসি (ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল) পদে সারা দেশ থেকে ৩ হাজার জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পুলিশ অধিদপ্তর। এর মধ্যে নারী নিয়োগ পাবেন ৪৫০ জন, পুরুষ নেওয়া হবে ২ হাজার ৫৫০ জন। টিআরসি পদে আবেদনের সময় ৭ অক্টোবর পর্যন্ত।
আসছে বড় নিয়োগের বিসিএস : করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে অন্যান্য চাকরির বিজ্ঞপ্তি বন্ধ থাকলেও বিসিএসের ক্ষেত্রে নিয়মিত রাখার চেষ্টা করেছে সরকার। তাই এই চাকরির প্রার্থীরা বয়স ছাড় পাচ্ছেন না। আগামী নভেম্বরের দিকে ৪৪তম বিসিএস-এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে পিএসসি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে পদের চাহিদা জমা পড়ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। এবার অন্যান্য বারের চেয়ে বেশি পদে বিজ্ঞপ্তি আসতে পারে পিএসসি সূত্রে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তাগিদ : নিয়োগে গতি আনতে বেকার যুবকদের পক্ষ থেকে দাবির সঙ্গে নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকেও তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ২ সেপ্টেম্বর সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) সরাসরি নিয়োগের শূন্যপদগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট বিসিএস ছাড়া অন্য সব সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা পার হওয়া প্রার্থীদের ২১ মাসের বয়স ছাড় দিয়েছে সরকার। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সাধারণভাবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএম আলী আজম মঙ্গলবার বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অনেক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে এই গতি আরও অনেক বাড়বে বলে আশা করি।
যে কারণে ধীরগতি : দেশের অর্থনীতির আকার দিন দিন অনেক বড় হচ্ছে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা প্রায়ই বলেন, সরকারের কাছে টাকার কোনো সমস্যা নেই। তারপরও শূন্যপদে নিয়োগে সমস্যা কোথায়। এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে একাধিক অধিদপ্তরের প্রধান বলেন, নিুপদে নিয়োগ দিতে গেলে রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক পর্যায় থেকে নিজেদের লোককে চাকরি দেওয়ার চাপ থাকে।
অন্যদিকে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। অধিদপ্তরগুলোতে অতিরিক্ত সচিবরা মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকেন। যাদের পরবর্তী স্বপ্ন থাকে সচিব হওয়া। ফলে নিয়োগ কার্যক্রমে হাত দিলেই বিভিন্ন পক্ষের তোপের মুখে পড়তে হয়। এ কারণে অনেক দপ্তর প্রধান নিয়োগ সংক্রান্ত কাজে আগ্রহী হন না। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি অধিদপ্তরের প্রধান স্বচ্ছতার সঙ্গে একটি বড় নিয়োগ সম্পন্ন করার পর বেশিদিন ওই পদে থাকতে পারেননি।
সরকারি পদ শূন্য থাকার আরেক বড় কারণ হলো কোনো কর্মচারী অবসরে না গেলে সেই পদ খালি ধরা যায় না। ফলে আগে থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে না সংশিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। এই বিষয়ে জনপ্রশাসন সচিব কেএম আলী আজম বলেন, বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী পদ খালি হওয়ার আগে থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর সুযোগ নেই।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিভিন্নমুখী চাপের কারণে অনেক দপ্তরপ্রধানরা বিষয়টি এড়াতে চান, এটা সরকারি চাকরিতে শূন্যপদ থাকার অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হলে এসব ঝামেলা কমতে পারে।
সূত্রঃ যুগান্তর