শিরোনাম
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। দুদেশের মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যেই এমন মন্তব্য করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। জেলেনস্কি বলেন, পুতিন আসলেই কী করতে চান তা জানতে এবং একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্যই তার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন তিনি।
রোববার আরও পরের দিকে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে আলাপ করার কথা রয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর। এর আগে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন ম্যাক্রোঁ এবং তাদের বৈঠক বেশ ইতিবাচক ছিল। মূলত ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা থামাতেই তিনি এই সফর করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ছেই। সেখানে রুশ-সমর্থিত বিদ্রোহীদের সঙ্গে ইউক্রেনের সেনাদের সংঘাত চলছে। এ থেকেই যুদ্ধের আবহ আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
পশ্চিমা দেশগুলো গত কয়েকদিন ধরেই যুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশগুলো যুদ্ধ না করার জন্য ইতোমধ্যেই রাশিয়াকে কয়েক দফায় হুমকি দিয়েছে। তবে হামলার পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে মস্কো। তাদের দাবি সীমান্তে সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছে সেনারা। এটা যুদ্ধের প্রস্তুতি নয়।
এদিকে ইউক্রেনের স্বরাষ্টমন্ত্রী ডেনিস মোনাস্টিরস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই ইউক্রেনের সেনারা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, আমরা সেনাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা প্রত্যেকেই অবিশ্বাস্য সাহসিকার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রত্যেকেই যেকোনো ধরনের অবস্থার জন্য প্রস্তত।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, রুশপন্থি বিদ্রোহীরা ৭০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এর মধ্যে ৬০ বার ৮২ এবং ১২০ মিলিমিটার-ক্যালিবার কামানের গোলা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এ ধরনের কামানের গোলা ব্যবহার নিষিদ্ধ।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কাকে আরও একবার উসকে দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, ১৯৪৫ সালের পর ইউরোপে ‘সবচেয়ে বড় যুদ্ধের’ পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। তারা যে এমন পরিকল্পনা করছে সেই প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার মতে, সব ইঙ্গিত থেকে এটাই মনে হচ্ছে যে, যুদ্ধের পরিকল্পনা ইতোমধ্যে হয়তো কিছুক্ষেত্রে শুরুও হয়ে গেছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও বলছেন যে, রাশিয়া আক্রমণ শুরু করতে চায়। তারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে ঘিরে ফেলার পরিকল্পনা করছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১ লাখ ৬৯ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজারের মতো সেনা ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া।