শিরোনাম
পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই সামরিক মহড়া পর্যবেক্ষণ করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শনিবার এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। রাশিয়ার এই মহড়ায় অংশ নেবেন পারমাণবিক অস্ত্র চালাতে সক্ষম বাহিনী। এতে ব্যালিস্টিক ও ক্রুস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ব্যালিস্টিক ও ক্রুস— এই দুই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রই পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম। রাশিয়া এমন সময়ে এই মহড়ার আয়োজন করছে যখন পূর্ব ইউরোপে সেনা উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এই মহড়া নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ। ইউক্রেন সংকট সমাধানে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এই মহড়ার মাধ্যমে তা আরও দীর্ঘায়িত করার কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেছেন পেসকভ।
পুতিনের মহড়া পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে পেসকভ বলেন, প্রেসিডেন্টের ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ‘সিচুয়েশন সেন্টার’ থেকে এই মহড়া পর্যবেক্ষণ করবেন।
বিগত চার মাস ধরে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বিভিন্ন ধরনের মহড়া চালাচ্ছে। এর মধ্যে ইউক্রেন সীমান্তে সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর বিষয়টিও রয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বের হিসাব অনুসারে, দেশটির সীমান্ত দেড় লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া কৃষ্ণসাগর ও বেলারুশে মহড়া চালানো হচ্ছে।
নতুন মহড়া প্রসঙ্গে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, সামরিক কমান্ড, সেনা, যুদ্ধজাহাজ এবং ক্ষেপণাস্ত্র কতটা প্রস্তুত, তা পরীক্ষা করা হবে মহড়ার মাধ্যমে।
পারমাণবিক ও পারমাণবিক নয়— এমন অস্ত্রের নির্ভরযোগ্যতাও যাচাই হবে এই মহড়ায়। মহড়ায় অংশ নেবে রাশিয়ার অ্যারোস্পেস ফোর্স, সাউদার্ন মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট, স্ট্র্যাটেজিক মিসাইল ফোর্স, নর্দান ফ্লিট ও ব্ল্যাক সি ফ্লিট।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের দেওয়া তথ্য অনুসারে, রাশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক রকেট ফোর্সের সদস্য সংখ্যা ৫০০ হাজার। সব মিলিয়ে সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৯ লাখ। বিগত ছয় বছরে এই বাহিনীর ব্যবহৃত প্রযুক্তির উন্নয়ন হয়েছে ব্যাপক হারে।