শিরোনাম
জানুয়ারির শেষের দিকে উদুপি সরকারি মহিলা কলেজে যখন ছয় ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি, তখন থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।
৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের কর্ণাটকের একটি কলেজের হিজাব পরহিত ছাত্রী মুসকানকে গেরুয়া ওড়না পরা একদল তরুণের বিরুদ্ধে একা দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে।
মুসকানের ওই মোকাবিলা করার ঘটনা ক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
এরমধ্যে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে হিজাব নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে বোরকা পরে প্রতিবাদ জানায় মুসলিম নারীরা। সে সময় প্রতিবাদরত ওই সব নারীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।খবর এনডিটিভির।
ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মুসলিম নারীদের হটানোর চেষ্টা করছে। বোরকা পরা এক নারীকে পুলিশ লাঠি দিয়ে পেটালে তিনি তাতে বাধা দেন।
পুলিশের এমন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অনেকে সমালোচনা করেছেন। ওই ঘটনার ভিডিও তদন্ত করছে পুলিশ। গত রোববার বোরকা পরে বিক্ষোভ করা ওই নারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে দেশটির পুলিশ।
পুলিশ এফআইআরে বলেছে,অনুমতি ছাড়াই ১৫ জন মুসলিম নারী গাজিয়াবাদের সানি বাজার রোডে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে জড়ো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে স্লোগান দিতে থাকে আন্দোলনরত মুসলিম নারীরা ।
এফআইআরে আরও বলা হয়েছে, নারী কনস্টেবলরা বিক্ষোভকারীদের বাড়ি যেতে অনুরোধ করে। এ সময় হেনস্তার শিকার হয় নারী কনস্টেবলরা। এ ছাড়া নারী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে থাকা কিছু পুরুষ কনস্টেবলদের হেনস্তা করে।এ ছাড়া পুরুষরা কনস্টেবলদের হুমকিও দেয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রইস নামে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।