শিরোনাম
এবার অস্ট্রেলিয়ায় ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস সংগঠন। অস্ট্রেলিয়া সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম।
তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ ইসরায়েলের প্রতি স্পষ্ট পক্ষপাতের বিষয়টিই ইঙ্গিত করছে। তিনি আরও বলেন, পরিকল্পিত এই তালিকা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এটি ইসরায়েলের দখলদারিত্ব প্রতিরোধে ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় বাধা দেবে।
ওই মুখপাত্র বলেন, হামাস একটি জাতীয় মুক্তি আন্দোলন যা আন্তর্জাতিক আইন, রেজুলেশন এবং মানবিক চুক্তি অনুযায়ী দখলদারিত্বকে প্রতিরোধ করে আসছে। যাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা উচিত তারা হচ্ছে ইসরায়েলি দখলদাররা। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্যবস্তু করছে এবং আন্তর্জাতিক, মানবিক আইন ও চুক্তি লঙ্ঘন করছে।
এর আগে ২০০৩ সালে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডসকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করে অস্ট্রেলিয়া। এবার হামাসের রাজনৈতিক শাখা এবং পুরো হামাসকেই এই তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করলো অস্ট্রেলিয়া। আগামী এপ্রিল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
২০০৭ সাল থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে হামাস। গত বছরের মে মাসে গাজায় ইসরায়েলি হামলা ৬৬ শিশুসহ কমপক্ষে ২৪৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এছাড়া আহত হয়েছে আরও এক হাজার ৯শ জন। অপরদিকে গাজা থেকে রকেট হামলায় ইসরায়েলে দুই শিশুসহ কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারেন অ্যান্ড্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, আজ তালিকাভুক্ত হামাস ও সহিংস চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি খুবই উদ্বেগজনক। বিদ্বেষপূর্ণ মতাদর্শের লোকজনের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় কোনো জায়গা নেই। অস্ট্রেলিয়ার এই পদক্ষেপের কারণে হামাসে অর্থায়ন বা অন্যান্য সহায়তা প্রদানের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত অপরাধের জন্য ২৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।