শিরোনাম
ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে রাশিয়া যে দাবি করেছে, তাকে মিথ্যা আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তার দাবি নতুন করে ওই এলাকায় আরও সাত হাজার সেনা মোতায়েন করেছে মস্কো। এই কর্মকর্তার দাবি ইউক্রেনে ‘যেকোনও মুহূর্তে’ আগ্রাসন চালাতে মিথ্যা অজুহাত দেওয়া শুরু করতে পারে রাশিয়া।
মস্কো জানিয়েছে, সামরিক মহড়া শেষে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সরে গেছে সেনা সদস্যরা। তবে পশ্চিমা কর্মকর্তারা দাবি করছেন, এই দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ দেখা যাচ্ছে না। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ এক টেলিফোন আলাপে সম্মত হয়ে বলেছেন, ‘উত্তেজনা নিরসনে রাশিয়াকে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে।’
রাশিয়া বারবারই ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করে আসছে। সীমান্ত এলাকায় এক লাখের বেশি সেনাসমাবেশ ঘটানোর পর পশ্চিমাদের আগ্রাসন আশঙ্কাকে ‘ভীতি’ আখ্যা দিয়ে আসছে। বুধবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা ভিডিওতে সেনা সদস্যদের ক্রিমিয়া ত্যাগ করতে দেখা যায়। ২০১৪ সালে অঞ্চলটি দখল করে রাশিয়া।
তবে হোয়াইট হাউজের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, গত কয়েক দিনে ইউক্রেন সীমান্তে আরও কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এর মধ্যে বুধবারও নতুন সেনা মোতায়েন হয়েছে। সেনা প্রত্যাহারের রুশ দাবির প্রতি সন্দেহ পোষণ করে মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ওই দাবির প্রতি বেশ মনোযোগ দেখতে পাচ্ছি, এখানেও এবং পুরো বিশ্বেও। কিন্তু এখন আমরা জানি এটা মিথ্যা।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশের সীমান্ত থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহারের কোনও ঘটনা এখনও পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়নি। বুধবার এক সামরিক প্রশিক্ষণস্থল থেকে বিবিসি-র সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে বুধবার শ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো জানায়, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু সামরিক ইউনিট সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিলেও বাস্তবে সেখানে এখনও সেনাসমাবেশ করছে রাশিয়া। নতুন করে সামরিক বাহিনীর আরও সদস্যদের সেখানে পাঠানো হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি