শিরোনাম
ডাকাতির টাকা দিয়ে প্রেমিকাকে নতুন আইফোন কিনে দিয়েছিলেন, ফ্ল্যাট কিনতে হবু শাশুড়িকে দিয়েছিলেন আরও চার লাখ। অপরাধীর নাম ভিকি মল্লিক। হাওড়ার বেলিলিয়াস রোড শিল্পাঞ্চলে সাম্প্রতিক চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার আসামিদের একজন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও সেই টাকায় প্রেমকিাকে আইফোন কিনে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ভিকি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ভিকির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে ডাকাতি-কাণ্ডে হেমন্ত মিশ্র ও কার্তিক রাম নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এখনো পলাতক আরও দুই সন্দেহভাজন। এরা প্রত্যেকেই কুখ্যাত অপরাধী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সকালে হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডে একটি লোহার সামগ্রীর দোকান থেকে এক কোটি রুপি লুট করে ডাকাতরা। পালানোর সময় গাড়ি যানজটে আটকা পড়লে জনাকীর্ণ রাস্তা দিয়ে দিনদুপুরেই পিস্তল উঁচিয়ে দৌড়ে পালায় অপরাধীরা। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ভিডিও।
তদন্তে নেমে ওই দোকানের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তিন দালাল- ননীগোপাল দাশ, শিবরাম চট্টোপাধ্যায় ও বিশ্বজিৎ দাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার সময় আশপাশেই ছিলেন ওই তিনজন। এরপরেই তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দফায় দফায় জেরার পর পুলিশ জানতে পারে, লুট হওয়া দোকানের ব্যবসায়ী সুনীল শর্মার সঙ্গে দালালদের পরিচয় মূলত কালো টাকা সাদা করার সূত্রে। ছয় মাস আসে তাদের আলাপ হয়। বেশিরভাগ সময় হোটেলে বসে বা ফোনে কথা হতো। ব্যবসায়ীর অফিসেও নিয়মিত যাতায়াত ছিল। ব্যবসায় পণ্য ও পরিষেবা কর যেন কম দিতে হয়, সুনীলকে মূলত সেই ব্যবস্থাই করে দিতেন ওই তিনজন। অর্থ হস্তান্তরেও সাহায্য করতেন। বিনিময়ে কমিশন পেতেন দালালরা।
অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনায় জড়িত বাকিদের সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। একে একে গ্রেফতার করা হয়, কার্তিক, হেমন্ত, ভিকিকে।
জিজ্ঞাসাবাদে ভিকি জানান, ডাকাতির পর অর্থ ভাগ-বাটোয়ারা শেষে প্রত্যেকেই নিজ নিজ বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। ওই টাকা দিয়েই প্রেমিকা মহিমা সিংকে আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স কিনে দিয়েছেন তিনি। মহিমা উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের বাসিন্দা। কাজের সূত্রে কলকাতায় এসে ভিকির সঙ্গে আলাপ হয়। মহিমাকে আইফোন দেওয়ার পাশাপাশি তার মাকে ফ্ল্যাট কিনে দেওয়ার জন্য সাড়ে চার লাখ রুপি পাঠিয়েছেন ভিকি।
বাকি দুই আসামির খোঁজে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা