শিরোনাম
কলকাতার পর এবার পশ্চিমবঙ্গের অন্য চারটি পৌরসভার ভোটেও জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর মাঝে বিধাননগর, আসানসোল ও চন্দননগর ছিল তাদেরই হাতে। সেই সঙ্গে তাদের ঝুলিতে নতুন সংযোজন শিলিগুড়ি। যেখানে এবারই প্রথম বোর্ড গড়ছে তৃণমূল। চারটিতেই ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, গত বছরের বিধানসভা নির্বাচন থেকেই তৃণমূলের যে জয়ের ধারা চলছে, সোমবার তার গতিই আরও তীব্র হয়েছে। বিধানসভা ভোটের পরে কয়েকটি উপনির্বাচনে জয়ের ধারা ধরে রেখেছিল তৃণমূল, সেই পথ ধরেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তারা জয়ী হয়েছিল কলকাতা পৌরসভায়। দুই মাসের মধ্যে সেই জয়ের হাওয়া এমন ঝড়ে পরিণত হয়েছে, যার দাপটে শিলিগুড়িও চলে এসেছে তৃণমূলের দখলে।
বিধানসভা ভোটে রাজ্যে বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও আসানসোল ও শিলিগুড়িতে প্রভাব ধরে রাখতে পেরেছিল বিজেপি। তাদের বিধায়কও নির্বাচিত হয়েছিলেন ওই এলাকা থেকে। এবারের ভোটে ওই দুই এলাকাতেও দাপট বিস্তার করেছে তৃণমূল। তবে মূলত অবাঙালি-অধ্যুষিত কিছু এলাকার জোরে আসানসোল ও শিলিগুড়িতে দ্বিতীয় স্থান রাখতে পেরেছে বিজেপি।
তৃণমূল বিরোধীরা অবশ্য অভিযোগ করছে, ভোটের এই ফল জনমতের ‘সঠিক প্রতিফলন’ নয়। ভোট ‘লুটের’ জোরেই এত বেশি আসন ও ভোট পেয়েছে শাসক দল। বিধাননগর ও আসানসোলেই তাদের অভিযোগ বেশি।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও দাবি করেছেন, ভোট ছিল একেবারে শান্তিপূর্ণ। মানুষ তৃণমূলের উপরে ভরসা রেখেছেন।
একই সঙ্গে বিপুল জয়ের পরে আরও ‘নম্র ও দায়িত্বশীল’ হয়ে কাজ করার জন্য দলকে বার্তা দিয়েছেন মমতা।
অন্যদিকে কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ সভাপতি অধীর চৌধুরী সরাসরিই বলেছেন, বহু জায়গায় ভোট লুট হয়েছে, প্রার্থীদের পর্যন্ত বাধা দেওয়া হয়েছে। এই ফল মানুষের রায়ের ঠিক প্রতিফলন নয়। আমরা সাধ্যমতো যেখানে যতটা পেরেছি, লড়াই করেছি।