শিরোনাম
পশ্চিমা দেশগুলো প্রতিনিয়ত বলে যাচ্ছে, রাশিয়া যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা করতে পারে। প্রেসিডেন্ট পুতিন এটা অস্বীকার করছেন। তবে তারা পশ্চিমাদের কাছে নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও চাচ্ছেন।
এই মুহূর্তে রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর ও বেলারুশে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। একইসঙ্গে ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন রেখেছে দেশটি।
অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলো সম্ভাব্য রুশ আক্রমণ মোকাবেলায় পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত ন্যাটো দেশগুলোতে সেনা পাঠাচ্ছে। ইউক্রেন ন্যাটো জোটের সদস্য না হওয়ায় দেশটিতে সেনা পাঠাতে পারছে না পশ্চিমা মিত্রজোট। তবে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ ইউক্রেনে অস্ত্র সহায়তা পাঠিয়েছে।
সবমিলিয়ে যুদ্ধের উসকানিমূলক আবহাওয়া বিরাজ করছে।
পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। রাশিয়ার শীর্ষ এই কূটনীতিক পশ্চিমাদের সঙ্গে কূটনীতিক সংলাপে সম্ভাবনা দেখছেন বলে পুতিনকে জানিয়েছেন। লাভরভ রুশ প্রেসিডেন্টকে সংলাপ চলমান রাখারও সুপারিশ করেছেন। খবর সিএনএনের।
জবাবে লাভরভকে পুতিন বলেন, আমাদের উদ্বেগের বিষয় নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর কোনো সুযোগ আসলে কী আছে? নাকি এটা রাশিয়াকে সমাপ্তহীন সমঝোতায় টেনে নেওয়ার প্রক্রিয়া; যার কোনো যৌক্তিক সমাধান নেই।
জবাবে লাভরভ উল্লেখ করেন, সীমানাহীন আলোচনা নিয়ে রাশিয়ার কর্মকর্তারা তাদেরকে সতর্ক করেছেন। তবে কূটনীতিকভাবে সমাধানের সুযোগ সর্বদা থাকে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি পোলান্ডের সঙ্গে আলোচনার কথা উল্লেখ করেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুতিনকে বলেন, বিকল্প কিছু প্রস্তাব শোনার উদ্যোগ চলার মধ্যে, আমার মনে হয়— আমাদের ক্লান্ত হওয়ার সময় এখনো আসেনি। পশ্চিমা দেশগুলোকে আলোচনার প্রক্রিয়া টেনে লম্বা করা উচিত নয় বলেও উল্লেখ করেন লাভরভ। তিনি বলেন, তবে আমার পরামর্শ, আলোচনা বাড়ানো হোক এবং চলমান থাকুক।