শিরোনাম
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মুকুটে নয়া পালক। নতুন বছরের শুরুতেই পৃথিবীর কক্ষপথে তিনটি উপগ্রহ পাঠাল ভারতীয় সংস্থাটি। সোমবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে এগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়।
স্থানীয় সকাল ৫টা ৫৯ মিনিটে মহাশূন্যে পাড়ি দেয় ইসরোর পিএসএলভি-সি৫২ রকেট। বিজ্ঞানীদের পরিকল্পনা মাফিক কক্ষপথে তিনটি স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করে পিএসএলভি।
এরমধ্যে রয়েছে ভূ-পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ ‘ইওএস-০৪’। প্রায় এক হাজার ৭০০ কিলোগ্রাম ওজনের ওই উপগ্রহটি কৃষি, সবুজায়ন, বৃক্ষরোপণ, মাটির আর্দ্রতা, জলের অনুসন্ধান এবং বন্যার রূপরেখা নিয়ন্ত্রণে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করতে মহাকাশ থেকে ছবি তুলে পাঠাবে।
এদিন পিএসএলভি-তে কক্ষপথের উদ্দেশে পাড়ি দেয় ‘ইন্সপায়ার-১’ এবং ভারত-ভুটান যৌথ উদ্যোগে তৈরি টেকনোলজি ডেমনস্ট্রেটর স্যাটেলাইট ‘আইএনএস-২বি’ নামের আরও দু’টি অপেক্ষাকৃত ছোট কৃত্রিম উপগ্রহ। আয়নমণ্ডলের গতিশীলতা এবং সৌরমুকুটের তাপমাত্রা নিয়ে গবেষণা চালাবে ওই দুই স্যাটেলাইট।
উল্লেখ্য, আইএনএস-২বি উপগ্রহটি ভারত-ভুটান যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা বসানো রয়েছে, যার মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের উপরিতলের তাপমাত্রা, জলমণ্ডলের তাপমাত্রার ওঠাপড়া, কৃষিকাজ এবং সবুজায়নের উপযুক্ত পরিবেশ এবং তাপের নিস্ক্রিয়তা নিয়ে দিনরাত গবেষণা চালানো হবে। ইন্সপায়ার-১ উপগ্রহটি তৈরি করেছেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব স্পেস সায়েন্স অ্যান্ট টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা। এর ওজন ৮.১ কেজি। এর মধ্যে বিজ্ঞানীদের তৈরি দু’টি সংযোগযন্ত্র বসানো রয়েছে, যার মাধ্যমে আয়নমণ্ডলের গতিশীলতা এবং সৌরমুকুটের তাপমাত্রার পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা চালাবেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: এনডিটিভি