শিরোনাম
ভারতে মুসলিম মেয়েরা হিজাব পরে কলেজে যাবে, জেলাপ্রশাসক হবে, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী হবে। তাদের মধ্য থেকে কেউ একদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীও হবে। গতকাল রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় পার্লামেন্টে এসব কথা বলেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। খবর এনডিটিভির।
হায়দরাবাদের এ রাজনীতিবিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। এতে তাকে বলতে শোনা যায়, যদি কোনো মেয়ে হিজাব পরার সিদ্ধান্ত নেয় ও বাবা-মায়ের কাছে অনুমতি চায়, তখন বাবা-মা তাকে এটি পরতে দিলে আর কে বাধা দিতে পারে? আমরা এমনটি দেখবো, ইনশাআল্লাহ।
৪৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে ওয়েইসি আরও বলেন, হিজাব পরা, নিকাব পরা মেয়েরা কলেজে যাবে, চিকিৎসক হবে, কালেক্টর, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ব্যবসায়ী হবে। মনে রাখবেন, আমি হয়তো তখন বেঁচে থাকবো না, কিন্তু হিজাব পরা কোনো মেয়েই একদিন এই দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে।
কর্ণাটকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অনুমতি বিতর্কের মধ্যেই এ মন্তব্য করলেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। ভারতে হিজাবকাণ্ডের শুরু মূলত গত ডিসেম্বরে। সেসময় কিছু মুসলিম ছাত্রী হিজাব পরে উড়ুপির একটি কলেজে যাচ্ছিলেন। তার জেরে হিন্দুত্ববাদী শিক্ষার্থীরা গেরুয়া বস্ত্র পরে কলেজে যেতে শুরু করেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকায় কর্ণাটকের বিজেপিশাসিত সরকার কলেজছাত্রীদের হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিশেষ করে গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে মাণ্ড্যর প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের সঙ্গে মুসকান খানের মুখোমুখি হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর আলোচনার ঝড় ওঠে। মামলা গড়ায় আদালতে।
গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি ছিল কর্ণাটক হাইকোর্টে। যতদিন এ বিষয়ে মামলা চলছে, ততদিন ধর্মীয় পোশাক পরে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আবারও এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।