শিরোনাম
একের পর এক দেশ নিজ নিজ নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো বার বার সতর্ক করেছে যে, রাশিয়া হয়তো ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই ডজনখানেক দেশ তাদের নাগরিকদের নিরাপদে ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে। খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি তাদের নাগরিকদের দ্রুত ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছে। সে কারণেই যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে। তবে কোনো ধরনের আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে মস্কো।
এদিকে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এক ফোনকলে ইউক্রেনে হামলা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়াকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে অপ্রয়োজনীয় স্টাফদের দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার থেকে দূতাবাসের সেবা বন্ধ রাখা হবে। তবে পশ্চিমাঞ্চলীয় লিভ শহরে জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য দূতাবাসের কিছু কার্যক্রম চলবে।
কানাডাও তাদের দূতাবাসের স্টাফদের পোল্যান্ডের কাছে অবস্থিত লিভ শহরে সরিয়ে নিয়েছে বলে কানাডীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এদিকে ইউক্রেনে নিযুক্ত ব্রিটিশ দূত মেলিন্ডা সিমন্স এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, তিনি এবং একটি মূল টিম এখন কিয়েভে অবস্থান করছেন।
ডাচ এয়ারলাইন্স কেএলএম এক ঘোষণায় জানিয়েছে, তারা এখন ইউক্রেনে ফ্লাইট বন্ধ রাখবে। অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ইসরায়েল, নেদারল্যান্ডস, এস্তোনিয়া, জাপান এবং নিউজিল্যান্ডের মতো অনেক দেশই তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। অনেক দেশ ইতোমধ্যেই কূটনৈতিক স্টাফ এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নিয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এর আগে এই দুই নেতা মুখোমুখি সাক্ষাত করেন।
তবে বিভিন্ন দেশ নিজ নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে বললেও কিয়েভ এ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। তারা তাদের লোকজনকে শান্ত এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে।