শিরোনাম
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ নাউরুর ডিটেনশন সেন্টার পরিচালনাকারী অস্ট্রেলিয়ান অফশোর কোম্পানি গত অর্থবছরে ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লাভ করেছে। দ্বীপটির ডিটেনশন সেন্টারে ২০০ জনের কিছু কম লোক আটক রয়েছে। অর্থাৎ কয়েদিপিছু কোম্পানিটির লাভের পরিমাণ ৫ লাখ ডলারের বেশি।
নাউরুর এই ডিটেনশন সেন্টার চালা কনস্ট্রাক্ট ইন্টারন্যাশনাল-এর আত্মাধীন কোম্পানি রার্ড নং ৩। নগদ ও লগ্নি মিলিয়ে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক এখন কনস্ট্রাক্ট ইন্টারন্যাশনাল।
২০১৭ সালে কনস্ট্রাক্ট ইন্টারন্যাশনাল যখন নাউরুর ডিটেনশন সেন্টারের চুক্তি পায়, তখন এর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৮ মিলিয়ন ডলারের।
কোম্পানিটির একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হলো, অস্ট্রেলিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর যেসব শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীকে আটক করে তাদের জন্য 'সৈন্য ও সেবা' প্রদান করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া।
২০২০-২১ অর্থবছরে কনস্ট্রাকশন ৩০৩ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে। রার্ড নং ৩ এখন ২৩৬ মিলিয়ন ডলারের মালিক। এছাড়াও ১৪ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পত্তিও রয়েছে কোম্পানিটির। এছাড়াও সুদ ও লভ্যাংশ হিসেবে আয় করেছে আরও ৬ মিলিয়ন ডলার। কর দেওয়ার পর ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে কোম্পানিটি যথাক্রমে ৬৯.৫ এবং ১০১ মিলিয়ন ডলার করে লাভ করে।
২০২০-২১ সালের অস্ট্রেলিয়া ও নাউরু কর্তৃক আটকে রাখা শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীর কমে গেছে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া এই দ্বীপে ১১৫ জন লোক আটক করে রেখেছে।
সরকারি হিসাবে, বর্তমানে প্রত্যেক আটক ব্যক্তির পেছনে অস্ট্রেলিয়ার বার্ষিক খরচ ৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি। অর্থাৎ প্রতিদিন একজন আটক শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থীর খরচ প্রায় ১২ হাজার ডলার।
সূত্র: গার্ডিয়ান