শিরোনাম
ভারতের উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এএনআইকে স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার দেওয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে বিরোধী সমাজবাদী দলের প্রধান অখিলেশ যাদব ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নাম উল্লেখ না করে মোদি বলেন, তাঁদের এত ঔদ্ধত্য যে তাঁরা বলেছিলেন ‘গুজরাট কে দো গাধে’। উত্তর প্রদেশ তাঁদের শিক্ষা দিয়েছিল।
মোদি বলেন, ‘আমরা ২০১৪ সালে জিতেছি। ২০১৭ ও ২০১৯ সালে আমাদের পক্ষে ভোট পড়েছে। উত্তর প্রদেশ আমাদের ২০১৪, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে গ্রহণ করেছে। আমাদের কাজের জন্য ২০২২ সালেও তারা আমাদের গ্রহণ করবে।’
অখিলেশ যাদবের বিরোধী জোটকে ‘দুই বালকের খেলা’ বলে মন্তব্য করেন মোদি। তিনি বলেন, এমন খেলা এর আগেও দেখা গেছে। তিনি সমাজবাদী দলের প্রধান ও জাট নেতা জয়ন্ত চৌধুরীর জোটের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তাঁদের পরিণতি আগের মতোই হবে।
পাঁচ বছর আগে সমাজবাদী দলের প্রধান অখিলেশ যাদব ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কাছে নির্বাচনে পরাজিত হন। সে সময়ের নির্বাচনের উল্লেখ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগেরবার তাঁদের সঙ্গে ‘দুই ছেলে’ ও ‘বুয়াজি’ ছিল। তবে তাতেও কাজ হয়নি।
মোদি সমাজবাদী দলের প্রধানের বিরুদ্ধে ভুয়া সমাজতন্ত্রের ও পারিবারিক রাজনীতির অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, দুই দলের নেতা একই। মোদি বলেন, পারিবারিক রাজনীতি গণতন্ত্রের বড় শত্রু। তিনি বলেন, ভুয়া সমাজবাদ পরিবারবাদকে উসকে দেয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যখন আমি ভুয়া সমাজবাদ নিয়ে কথা বলি, তখন পারিবারিক রাজনীতির বিষয়ে কথা বলি। আপনারা কি লোহিয়াজি, জর্জ ফার্নান্দেজ, নীতীশ কুমারের পরিবারকে দেখেননি? তাঁরা সবাই সমাজবাদী।’
উত্তর প্রদেশে আজ ভোট শুরু হচ্ছে। প্রথম দফা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে ৫৮ আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই নির্বাচনে কৃষকদের বিক্ষোভের প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে। কৃষকদের বড় অংশ জাট সম্প্রদায়ের। ২০১৭ সালে তাঁরা বিজেপিকে ভোট দেন। সে বছর ৫৮ আসনের মধ্যে ৫৩টিতেই জিতে যায় বিজেপি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, এবার উত্তর প্রদেশের নির্বাচনের ফলাফল ভারতের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।
ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশে অসন্তোষ রয়েছে, এমন ধারণাকে উড়িয়ে দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে, সব কটিই ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে। উত্তর প্রদেশে একটি দল বারবার জিততে পারবে না, এমন ধারণাকে বাতিল করে দেন মোদি।