শিরোনাম
ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। মঙ্গলবার ফোনে কথা হয় দুই নেতার। এ সময় রাশিয়া ও ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয় তাদের। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।
তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাভুসোগলু তার মার্কিন সমকক্ষকে সংলাপের মাধ্যমে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনে তুরস্কের উদ্যোগের বিষয়ে অবহিত করেছেন।
ফোনালাপে উত্তর সিরিয়ার বিদ্যমান পরিস্থিতি, তুরস্কের দক্ষিণ সীমান্ত অঞ্চলে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ওয়াইপিজি/পিকেকে-এর কর্মকাণ্ড এবং স্থানীয় বেসামরিকদের ওপর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার বিষয়টিও তুলে ধরেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আঙ্কারার লড়াই অব্যাহত থাকবে।
এর আগে এ মাসের গোড়ার দিকে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে আরেক দফা আলোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১ ফেব্রুয়ারি তুর্কি প্রেসিডেন্টের প্রধান উপদেষ্টা ইব্রাহিম কালিনের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। এ সময় ইউক্রেনের ওপর আরও রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে নিজেদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা। তুর্কি প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে বলেন, ইউক্রেন সংকট সমাধানে ‘সব ধরনের সহায়তা’ দেবে তুরস্ক।
গত নভেম্বরে ইউক্রেন সংকটে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয় তুরস্ক। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, গত মাসে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়েই আঙ্কারার মধ্যস্থতার প্রস্তাব গ্রহণের ব্যাপারে ইতিবাচক ছিল।
কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশেরই সামুদ্রিক প্রতিবেশী তুরস্ক। উভয় দেশের সঙ্গেই আঙ্কারার সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে সিরিয়া ও লিবিয়া ইস্যুতে আঙ্কারার অবস্থান মস্কোর নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০১৪ সালে রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল দখলেরও বিরোধী আঙ্কারা। এদিকে প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি খাতে মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তুরস্কের। অন্যদিকে ইউক্রেনের কাছে অত্যাধুনিক ড্রোন বিক্রি করেছে তুরস্ক। এসব ড্রোন ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। তুর্কি ড্রোন রফতানির এ ঘটনা মস্কোকে ক্ষুব্ধ করে তোলে।
গত মাসের শেষদিকে এরদোয়ান বলেন, ইউক্রেনে আক্রমণ করা রাশিয়ার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। সেক্ষেত্রে ন্যাটো সদস্য হিসেবে যা প্রয়োজন তাই করবে তুরস্ক।