শিরোনাম
ওয়াশিংটনে ১৯৮০ এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের দূতাবাস নিয়ে যা হয়েছিল- সে কাহিনী যেকোনো গোয়েন্দা উপন্যাসের প্লটকেও হার মানাবে। দূতাবাসে বসে রাশিয়ানরা কী করছে, কী বলছে - তা আড়ি পেতে শোনার জন্য ভবনের নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
সেকথা অবশ্য এক ডাবল এজেন্টের কারণে ফাঁস হয়ে যায়। সেই অবিশ্বাস্য মাত্রার রেষারেষি যদিও এখন আর নেই, কিন্তু রুশ-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনা এখন আবারও বিপজ্জনক মোড় নিচ্ছে। খবর বিবিসির।
সেই পুরনো শত্রুর সঙ্গে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কীভাবে সামাল দেন, সেটাই এখন সংকটের সময় নেতা হিসাবে যোগ্যতা প্রমাণে তার সামনে বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পশ্চিমা গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে ঐক্য তৈরি করে একনায়ক স্বৈরাচারী শাসকদের চ্যালেঞ্জ করার যে নীতি তিনি নিয়েছেন- তার সাফল্য-ব্যর্থতাও অনেকটাই নির্ধারিত হবে ইউক্রেন পরিস্থিতির কী পরিণতি হয়, তার ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রে অনেক রাজনীতিক এবং বৈদেশিক নীতির গবেষক এখন বলছেন, ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠাতে হবে এবং তাহলেই পুতিনের কানে পানি যাবে।
তাদের কথা- রুশ প্রেসিডেন্ট সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে যেসব সিগন্যাল পাচ্ছিলেন- তা ছিল মিশ্র। সেই সিগন্যাল এখন স্পষ্ট করতে হবে।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুগ্ধতা যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ নীতির জন্য জটিলতা তৈরি করেছে।
মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ সামলাতে যখন এফবিআই গলদঘর্ম হচ্ছিল সেসময় ট্রাম্প পুতিনের গুণগানে ব্যস্ত ছিলেন এবং একইসঙ্গে ন্যাটোকে অবজ্ঞা করছিলেন। কিন্তু জো বাইডেন নির্বাচনের আগে এবং পরে অঙ্গীকার করেছিলেন যে তার পূর্বসূরির ওই নীতি তিনি প্রত্যাখ্যান করবেন এবং পুতিনের 'আগ্রাসী' আচরণকে চ্যালেঞ্জ করবেন।
কিন্তু একইসঙ্গে বাইডেন রাশিয়ার সঙ্গে একটি স্থিতিশীল এবং স্পষ্ট সম্পর্ক গড়তে চাইছিলেন। যাতে আমেরিকার প্রধান কৌশলগত চ্যালেঞ্জ যে দেশটির কাছ থেকে আসছে - সেই চীনকে মোকাবেলার প্রতি তিনি মনোনিবেশ করতে পারেন।
ফলে, রাশিয়ার সীমান্তে ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ বন্ধের দাবিতে পুতিন যখন আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন বাইডেন একটা হোঁচট খান।
কিন্তু প্রাথমিক সেই ধাক্কা সামলে বাইডেন সেই চ্যালেঞ্জকে এমন গুরুত্ব দিয়ে মোকাবেলার চেষ্টা শুরু করেছেন- যার নজির দেখা যায় শীতল যুদ্ধের সময়ে তৈরি হওয়া বড় বড় সংকটের সময়।