শিরোনাম
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, তিনি ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তার সরকার চায় নিজ দেশের নাগরিকরা যেন দ্রুত ইউক্রেন ছাড়েন। খবর আল জাজিরার।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মরিসন বলেন, ইউক্রেনে অবস্থানরত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকরা যদি চান তবে তাদের দেশটি ছেড়ে চলে আসার এখনই সময়। তিনি বলেন, যারা এখনও ইউক্রেনে আছেন তাদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে কয়েক সপ্তাহ ধরেই কাজ করছেন দূতাবাসের কর্মীরা। আলোচনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতির সমাধান করার জন্যও রাশিয়াকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছেই। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযান চালাতে রাশিয়া প্রায় ৭০ শতাংশ সামরিক শক্তি একত্রিত করেছে।
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মাটিতে বরফ জমে গিয়ে তা শক্ত হয়ে যাবে এবং এর ফলে মস্কোর পক্ষে ভারী সামরিক যান নিয়ে আসা সহজ হবে বলে উল্লেখ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা।
ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে রাশিয়া এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে। তবে ইউক্রেনে কোন আক্রমণের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করছে মস্কো।
আট বছর আগে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল রাশিয়ার দখল করা এবং পূর্বদিকের ডনবাস অঞ্চলের বিদ্রোহীদের রক্তাক্ত বিদ্রোহে সমর্থন দেওয়ার পর নতুন করে এই উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
মস্কো ইউক্রেন সরকারের বিরুদ্ধে মিনস্ক চুক্তি মেনে না চলার অভিযোগ তুলেছে। পূর্ব ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে এই চুক্তি হয়েছিল। পূর্ব ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ এলাকা রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। সেখানে ২০১৪ সালের পর থেকে যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
রাশিয়া দাবি করছে, ইউক্রেনকে যেন ন্যাটো জোটে নেওয়া না হয়। সেই স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকেই রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে এই দেশ দুটির হাতে। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইউক্রেন ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ।