শিরোনাম
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোয় নতুন করে রাজনৈতিক সহিংসতা শুরু হয়েছে। দেশটিতে বেশ কয়েকটি সেনানিবাসে গোলাগুলির ঘটনার পর গুজব রটেছে, ক্ষমতা দখলে নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। তবে সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে বুরকিনা ফাসো সরকার।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় রোববার (২৩জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে বুরকিনা ফাসোর রাজধানী ওয়াগাদুগুর সাংগুলে লামিজানা সেনানিবাসে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেখানে সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফদের বাড়ি ও একটি কারাগারও রয়েছে। ২০১৫ সালেও সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।
বুরকিনা ফাসোয় ব্যারাকে গোলাগুলির পর সেনা অভ্যুত্থানের ‘গুজব’
ওয়াগাদুগু বিমানবন্দরের কাছের একটি বিমানঘাঁটিতেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া রাজধানী থেকে একশ কিলোমিটার দূরে কায়া এলাকায় একটি সেনাঘাঁটিতেও গুলি চালানো হয়েছে বলে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন।
এদিকে, সেনানিবাসে গোলাগুলির ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার। তবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তা নাকচ করে দিয়েছে বুরকিনা ফাসো সরকার।
বিষয়টি নিয়ে জাতীয় টেলিভিশনে রোববার জরুরিভিত্তিতে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল বাথেলেমি সিমপোর এক বক্তব্যে বলেন প্রেসিডেন্ট রচ মার্ক কাবোরে আটক হয়েছেন বলে যে ‘গুজব’ ছড়িয়েছে তা সঠিক নয়। তবে গোলাগুলির কারণ এখনো স্পষ্ট নয় বলেও জানান তিনি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, রাষ্ট্রপ্রধান আটক হননি। দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানকে হুমকি দেওয়া হয়নি। তাদের উদ্দেশ্য কী বা কোনো দাবি আছে কি না এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তবে পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল বলেও দাবি করেন তিনি।
সূত্র: আল-জাজিরা