শিরোনাম
সিরিয়ার কারাগারে ইসলামিক স্টেট (আইএস) যোদ্ধাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দিদের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১২০ জনে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, কারাগারে আইএসের হামলায় ৩৯ কুর্দি যোদ্ধা ও ৭৭ জন আইএস সদস্য নিহত হয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে চলা সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে কারারক্ষী, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন।
শুক্রবার জঙ্গি সংগঠন আইএসের মুখপাত্র আমাক কারাগারে হামলার দায় স্বীকার করেছে। ২০১৯ সালে পরাজিত ঘোষণা করার পর এটা আইএসের সর্বোচ্চ ভয়াবহ হামলা।
শনিবার আমাক গণমাধ্যমে প্রকাশ এক ভিডিওতে কারাগারে আইএসের পতাকাধারী অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকতে দেখা যায়। যদিও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই ভিডিওর সতত্য যাচাই করতে পারেনি।
খবরে বলা হয়েছে, হাসাকাহ শহরে কুর্দি পরিচালিত গোরান কারাগারে হামলায় সাত বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ও কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএফ) রোববার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সেনাদের সহযোগিতায় তারা দখল শক্তিশালী করেছেন। সংঘর্ষে তাদের ১৭ জন সদস্য নিহতের কথা জানিয়েছেন তারা।
এসডিএফ প্রথম দিকে জানায়, তারা হামলা প্রতিহত করেছে এবং ৮৯ আইএস যোদ্ধা যারা কারাগারের পাশে অবস্থান নিয়েছিল তাদের গ্রেফতার করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে আইএস বন্দিরা কারাগারের কিছু অংশ দখলে নেয় বলে স্বীকার করেন।
এসডিএফের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তারা পলাতক ১০৪ কয়েদিকে পুনরায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে কত জন কারাগার ভেঙে বের হয়ে গেছে সেটা জানাননি তিনি।
আক্রমণকারীরা গোরান কারাগারের গেটের কাছে একটি গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে বেশ কিছু কয়েদি কারাগার থেকে পালিয়ে যায়।
এসডিএফের সামরিক কমান্ডার মাজলাম আবাদি বলেন, কারাগার ভাঙতে আইএস তাদের সিলিপার সেলের কর্মীদের ব্যবহার করেছে।
সিরিয়ার এই কারাগারে কত সংখ্যক আইএস বন্দিকে রাখা হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের অনুমান, ৫০ এর অধিক দেশের দুই থেকে ৪ হাজার বিদেশি যোদ্ধাসহ এই কারাগারে ১২ হাজারের অধিক কয়েদিকে রাখা হয়।