শিরোনাম
বারবার বুস্টার ডোজ দেওয়ার বদলে প্রতি বছর একটি করে করোনারোধী টিকা দেওয়ার নিয়ম চান মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজারের প্রধান নির্বাহী (সিইও) আলবার্ট বোরলা। তার মতে, এলোমেলো বুস্টার ডোজ নেওয়ার বদলে মানুষকে বছরে একবার নিয়মিত টিকা নিতে রাজি করানো সহজ। গত শনিবার (২২ জানুয়ারি) ইসরায়েলের এন১২ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন ফাইজার সিইও। খবর রয়টার্সের।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের জেরে বিশ্বজুড়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। পরিস্থিতি সামলাতে অনেক দেশই বুস্টার ডোজ কর্মসূচি শুরু করেছে অথবা দুই ডোজ নেওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমিয়ে দিয়েছে।
সাক্ষাৎকারে ফাইজার সিইও’র কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি প্রতি চার-পাঁচ মাস অন্তর বুস্টার ডোজ প্রয়োগ চান কিনা। জবাবে বোরলা বলেন, এটি খুব একটা ভালো দেখাবে না। আমি বরং আশা করছি, আমরা এমন একটি টিকা পাবো যা বছরে একবার নিলেই চলবে। বছরে একবার টিকা নিতে মানুষকে রাজি করানো সহজ। মানুষের জন্য এটি মনে রাখাও সহজ হবে।
তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে এটিই আদর্শ সমাধান হতে পারে। আমরা এমন একটি টিকা তৈরি করতে চাচ্ছি যা ওমিক্রনকে ঠেকাবে, আবার করোনার অন্য ধরনগুলোকেও ভুলে যাবে না।
বোরলা জানান, আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই ফাইজার ওমিক্রন ঠেকাতে সক্ষম এমন একটি টিকার অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে পারে।
তিনটি গবেষণার কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) গত শুক্রবার বলেছে, ওমিক্রন মোকাবিলায় এমআরএনএ টিকার তৃতীয় ডোজই হচ্ছে মোক্ষম অস্ত্র। এটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে ৯০ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের শেবা মেডিক্যাল সেন্টারের এক গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, তৃতীয় ডোজের চেয়ে চতুর্থ ডোজ নেওয়ার পর শরীরে আরও বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। কিন্তু এটিও ওমিক্রন ঠেকাতে যথেষ্ট নয়। তারপরও ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণির লোকদের দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।