শিরোনাম
দীর্ঘ দুই দশক পর ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে তালেবান। কিন্তু ক্ষমতা দখলের দেড়মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃতি পায়নি রক্ষণশীল সংগঠনটি। তালেবান সরকার বিশ্বে স্বীকৃতি পাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তব্য দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করা করেছিল তালেবান। এরপরই তালেবানের স্বীকৃতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এবার জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেতে ‘টোপ’ দিয়েছে তালেবান।
শুক্রবার এক রুশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী জাবিহুল্লা মুজাহিদ জানান, জাতিসংঘে তালেবানের প্রতিনিধিকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিলে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবে তারা। একই সঙ্গে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গেও দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা তৈরি করার চেষ্টা করবে তালেবান। এটাই তালেবানের প্রাথমিক কাজ হবে বলে জানান তিনি।
জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেতে তালেবান কাতারের মতো ‘বন্ধু’ দেশগুলোর সাহায্য চাইতে পারে বলে জানিয়েছেন মুজাহিদ।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিতে চায় তালেবান। তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুত্তেরেসকে সোমবার এই ইচ্ছা প্রকাশ করে একটি চিঠি দিয়েছিলেন।
ওই চিঠিতে দোহার তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহিনকে আফগানিস্তানের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে জাতিসংঘে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আমির খান মুত্তাকি।
এর আগে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি দেশ। এ তালিকায় চীন ও রাশিয়ার মতো পরাশক্তিগুলো ছাড়াও রয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান ও তুরস্কের নাম।
তবে তালেবান দ্বিতীয় দফায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের দেড় মাসের বেশি পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো দেশই তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
সূত্র: যুগান্তর