শিরোনাম
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে সতর্ক করে যুক্তরাজ্য বলেছে, পশ্চিমারা একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে এক হয়ে কাজ করবে।
শুক্রবার যুক্তরাজ্য এ সতর্কতা উচ্চারণ করে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছেন, বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় আগ্রাসনকারীদের মোকাবিলায় পশ্চিমাদের উচিত অস্ট্রেলিয়া, ইসরায়েল, ভারত, জাপান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো মিত্রদের সঙ্গে কাজ করা।
লিজ ট্রাস বলেন, এখন সময় এসেছে মুক্তবিশ্বের পক্ষে দাঁড়ানোর।
সিডনির লোই ইনস্টিটিউটে বক্তৃতা দেবেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলবেন, বিশ্বব্যাপী হুমকির বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের অবশ্যই একযোগে সাড়া দিতে হবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে হবে। বিশ্বব্যাপী আগ্রাসনকারীদের মোকাবিলা করতে হবে।
লিজ ট্রাস বলবেন, বিশ্বব্যাপী আগ্রাসনকারীরা এমন বেপরোয়া হয়েছে, যা তাঁরা শীতল যুদ্ধের পর থেকে আর দেখেননি।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলবেন, আগ্রাসনকারীরা সারা বিশ্বে একটি সেবা হিসেবে একনায়কতন্ত্র রপ্তানি করতে চায়। এ কারণেই বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, মিয়ানমারের মতো শাসনব্যবস্থা মস্কো ও বেইজিংয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র খুঁজে পায়।
পশ্চিমা নেতারা বলছেন, ২১ শতক কেমন হবে, তা নির্ধারিত হবে গণতন্ত্র এবং চীন ও রাশিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে লড়াই দ্বারা। তারা আরও বলছেন, চীন-রাশিয়ার মতো দেশগুলো শীতল যুদ্ধ-পরবর্তী ঐকমত্যকে সামরিক, প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জ করছে।
চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের উত্তেজনাকর সম্পর্ক বিরাজ করছে। এই দুই দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন, একনায়কতন্ত্র, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগ তুলছে পশ্চিমারা।