শিরোনাম
সাগরের নিচে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে বিধ্বস্ত হয়েছে টোঙ্গা। দেশটির অধিকাংশ বাড়িঘর-গাছপালা ঢাকা পড়েছে ছাই আর কালো ধোঁয়ায়। ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর। এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে দেশটির কয়েকটি দ্বীপ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন তিনজন।
এমন পরিস্থিতিতে দেশটির পাশে দাঁড়াতে হাত বাড়িয়েছে প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় সাহায্য নিয়ে টোঙ্গার উদ্দেশ্য রওয়ানা দিয়েছে দেশ দুইটির প্লেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
টোঙ্গার প্রধান বিমানবন্দরটি ছাইয়ে ঢাকা পড়ায় সেখানে প্লেন অবতরণের কোনো পরিস্থিতি ছিল না। তবে শত শত কর্মীর প্রচেষ্টায় বিমানবন্দরটির রানওয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে।
নিউজিল্যান্ড জানায়, বিধ্বস্ত টোঙ্গার জন্য সাহায্য কার্যক্রম ভালোভাবে শুরু হয়েছে। সাহায্যবাহী প্রথম প্নেন ও জাহাজ বৃহস্পতিবার সেখানে পৌঁছাবে। অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বাহিনী জানায়, তাদের সাহায্যকারী প্লেনগুলো বৃহস্পতিবার টোঙ্গায় নামবে। এতে পানি, খাদ্য ও যোগাযোগ সরঞ্জাম থাকবে।
তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত ও তা থেকে সৃষ্ট সুনামিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে টোঙ্গার কিছু দ্বীপ। ধ্বংস হয়ে গেছে ওই অঞ্চলের বেশিরভাগ ঘরবাড়ি। এক বিবৃতিতে অগ্ন্যুৎপাত-সুনামিতে তিনজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে টোঙ্গা সরকার। এদের মধ্যে দুজন স্থানীয় ও একজন ব্রিটিশ নাগরিক।
গত শনিবারের হাঙ্গা টোঙ্গা হাঙ্গা হা’পাই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে আশপাশের দ্বীপগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটি দ্বীপের সব বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে ও আরেকটি দ্বীপের মাত্র দুটি অবশিষ্ট রয়েছে।