শিরোনাম
ভারতে নতুন করে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। আতঙ্কের নতুন নাম ওমিক্রন। শুধু ভারত নয়, ওমিক্রনের প্রভাবে বিশ্বের অনেক দেশেই এখন সংক্রমণের লাগাম চানা যাচ্ছে না। মহামারি কবে শেষ হবে সে সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে পারছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।
এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীবাহী আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়ালো ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার এ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে বেসামরিক বিমান পরিষেবার মহাপরিচালক।
নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যাত্রীবাহী আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে পণ্যবাহী বিমানের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। এয়ার বাবলের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি। ২০২০ সালের ২৩ মার্চ থেকে বন্ধ আছে বিমান পরিষেবা। নতুন বছরে এই সবকিঠু স্বাভাবিক হওয়ার আশা করা হয়েছিল।
কিন্তু বিশ্বজুড়ে নতুন করে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বাধ্য হয়েই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বারবার বাড়ানো হচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতেই ইঙ্গিত মিলেছিল যে, নতুন বছর থেকে চালু হতে পারে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল। বেসামরিক বিমান চলাচল বিষয়ক মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানিয়েছিলেন, নতুন করে কিছু দেশে করোনার প্রকোপ বাড়ছে।
সেসব খতিয়ে দেখে তবেই আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেন্দ্র সে সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, দীর্ঘ ২১ মাস পর, ক্রিসমাসের আগেই চালু হবে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি।
ওমিক্রন সংক্রমনের আশঙ্কায় আবারও নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হলো। এবার আরও একমাসের জন্য এই বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা যুদ্ধে অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার পর যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এখন বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির মাধ্যমে সীমিত সংখ্যক বিমান চলাচল করছে। বর্তমানে ৩১টি দেশের সঙ্গে ‘এয়ার বাবল’ চুক্তিতে আবদ্ধ আছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কেনিয়া, ভুটান , ফ্রান্স, বাংলাদেশসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ।