টোঙ্গায় আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত, সুনামি

ফানাম নিউজ
  ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৪:০০
আপডেট  : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৪:২১

ভূ-গর্ভে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ টোঙ্গা। দেশটির উপকূলে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্টি হয়েছে শক্তিশালী এক সুনামির। অগ্ন্যুৎপাতের তীব্রতা এতই বেশি ছিল এর প্রভাব পড়েছে সাড়ে ১০ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ পেরুতেও।

কোনো পারমাণবিক বোমা কিংবা অত্যাধুনিক মিসাইল নয়, প্রাকৃতিক বিস্ফোরণের ছবি এটি। মহাকাশ থেকেও এর তীব্রতা স্পষ্ট দেখা গেছে। শনিবার দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র টোঙ্গাতে হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হাপাই নামের আগ্নেয়গিরিটিতে এ উদগীরণ হয়।

টোঙ্গা জিওলজিক্যাল সার্ভিসেস জানায়, আগ্নেয়গিরি থেকে গ্যাস, ধোঁয়া ও ছাই আকাশের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছেছে।

এদিকে, শক্তির বিবেচনায় বিস্ফোরণটিকে একুশ শতকের অন্যতম ভয়াবহ উদগীরণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ডের ভলকানোলজিস্ট শেইন ক্রোনিন বলেন, অগ্ন্যুৎপাতটি অত্যন্ত ভয়াবহ ছিল। মাত্র ত্রিশ মিনিটে এর ব্যাপ্তি ৩৫০ কিলোমিটার ছড়িয়েছে। জিওলকিক্যাল বিশ্লেষণ থেকে জানা গেছে, এই ধরনের ভলকানিক বিস্ফোরণ প্রতি নয় শ’ বছরে একবার হয়ে থাকে এবং এটি ধাপে ধাপে হয়। সুতরাং এটি হতে পারে একটা সিরিজের প্রথম ধাপ।

অগ্নেয়গিরির উদগীরণের পর সৃষ্ট সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত টোঙ্গা বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮০ হাজারের মতো মানুষ।

ফিজি, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানেও এর প্রভাব অনুভূত হয়েছে।

পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে রাজধানী নুকু’য়ালোফা থেকে ২১ কিলোমিটার পশ্চিমে হিহিফো উপদ্বীপের হা’তাফু বিচ রিসোর্ট।

ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনার জন্য সোমবার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড পর্যবেক্ষণকারী বিমান পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।