‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা খারিজ করে দিয়েছে বাংলাদেশ’

ফানাম নিউজ
  ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:৪০

বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং গুমের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ যেসব উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল তা খারিজ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

সম্প্রতি ‘ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট ২০২২’ এ এসব কথা বলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেছেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কোভিড-১৯ মহামারিকে ব্যবহার করে একটি হতাশাজনক বার্তা দিয়েছে যে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনার শাস্তি দেওয়া হবে। তবুও সাংবাদিক, চিকিৎসাকর্মী এবং অ্যাক্টিভিস্টরা স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সেসব বাধাগুলোকে তুলে ধরেছেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া অনেক মানুষ এই প্রতিবন্ধকতাগুলোর সম্মুখীন হয়েছেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তার ৩২তম সংস্করণের ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট ২০২২-এর ৭৫২ পৃষ্ঠায় প্রায় ১০০টি দেশের মানবাধিকার অনুশীলন পর্যালোচনা করেছে।

এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনে নানান ঘটনার বিশ্লেষণের মধ্যে একটিতে বলা হয়, ঢাকায় ২০১৭ সালে দুই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত পাঁচজনকে খালাস দেওয়ার পরে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিচারক অপরাধের প্রতিবেদন দাখিল করতে এক মাস সময় নেওয়ার জন্য ভুক্তভোগীদের দোষারোপ করেছেন। তাদের চরিত্রের অবমাননা করেছেন এবং বিশেষভাবে সুপারিশ করেছেন যে, পুলিশের উচিত ঘটনার ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় পরে আসা কোনো ধর্ষণ মামলা দায়ের করতে প্রত্যাখ্যান করা।

নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতার উদ্বেগজনক বৃদ্ধি মোকাবিলার জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়ে কর্মীরা সারা দেশে বিক্ষোভ করার এক বছরেরও বেশি সময় পরে এই রায় আসে। কর্তৃপক্ষ এখনো একটি যৌন হয়রানি বিল পাস করতে পারেনি, এছাড়া সাক্ষীর সুরক্ষা দিতে বা বৈষম্যমূলক আইন সংশোধন করতে পারেনি।

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিপজ্জনক আবহাওয়াপ্রবণ পরিস্থিতি রয়েছে এবং পর্যাপ্ত সেবার অভাব রয়েছে সেই ভাসানচর দ্বীপে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য কার্যক্রম শুরু করার উদ্দেশ্যে, সরকার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা, ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে দ্বীপের বসবাসযোগ্যতা, নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব এবং সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার মূল্যায়নের জন্য অপেক্ষা করার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে সেখানে প্রায় ২০ হাজার শরণার্থীকে স্থানান্তর করে ফেলেছে। মিয়ানমারে ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থান রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনাকে আরও সংকীর্ণ করে তুলেছে।