ঘরবন্দী চীনের আরও এক শহরের লাখো বাসিন্দা

ফানাম নিউজ
  ১১ জানুয়ারি ২০২২, ২৩:১৬

চীনের মধ্যাঞ্চলে আরও একটি শহরের বাসিন্দারা আবার ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন। আজ মঙ্গলবার নতুন করে লকডাউন–সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি হওয়ার পর ঘরে আটকা পড়েছেন তাঁরা। করোনার অতি সংক্রামক নতুন ধরন অমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।

আগামী মাস থেকে বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক শুরু হবে। তাই করোনার নতুন করে প্রাদুর্ভাব ছড়ানো ঠেকাতে বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে কর্তৃপক্ষ আবারও এই বিধিনিষেধ দিয়েছে। ‘জিরো কোভিড’ নীতির আওতায় নির্দিষ্ট এলাকায় লকডাউন, সীমান্তে বিধিনিষেধ ও দীর্ঘকালীন কোয়ারেন্টিন চালু করছে চীনা কর্তৃপক্ষ।

চীনের নেওয়া এসব পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলোর তুলনায় করোনার হটস্পটগুলোয় করোনা শনাক্তের সংখ্যাটা অনেক কম রয়েছে। তবে বেইজিং পড়েছে অন্য বিপদে। বর্তমানে দেশটির একাধিক শহরে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে দিন দিন এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছেই।

মঙ্গলবার থেকে লকডাউন জারি হয়েছে চীনের হেনান প্রদেশের শহর আনিইয়াংয়ে। শহরটিতে দুজন করোনার নতুন ধরন অমিক্রনে আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন জারি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, ৪০০ কিলোমিটার দূরের তিয়ানজিন শহর থেকে আনিইয়াংয়ে করোনার এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা শিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার কর্তৃপক্ষ আনিইয়াংকে লকডাউন করার ঘোষণা দেয়। লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে কর্তৃপক্ষ শহরের বাসিন্দাদের ঘর থেকে বের না হওয়া ও সড়কে গাড়ি না চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকে সেখানে লকডাউন কার্যকর হয়।

শিনহুয়ার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওই শহরে জরুরি নয়, এমন সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গণহারে শহরের বাসিন্দাদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। অমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে ও ভয়াবহ মহামারি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য এসব বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী মঙ্গলবার শহরটিতে নতুন করে ৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁরা স্থানীয়ভাবে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। শনিবার থেকে সেখানে ৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে নতুন শনাক্তরা অমিক্রনে আক্রান্ত কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।