কাজাখস্তানে পৌঁছেছে রুশ বাহিনী, বিক্ষোভ দমন অব্যাহত

ফানাম নিউজ
  ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ২৩:৩১

কাজাখস্তানে পৌঁছেছে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন বাহিনী। দেশটির প্রেসিডেন্টের অনুরোধে এই বাহিনী বিক্ষোভ দমনে সহায়তা করবে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের দমন অব্যাহত রেখেছে কাজাখ নিরাপত্তা বাহিনী।

জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত কয়েক দিন ধরে কাজাখস্তানে চলা বিক্ষোভে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে সরকারি কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির সবচেয়ে বড় শহর আলমাতিতে তীব্র গুলিবর্ষণের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক সাংবাদিক।

জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ বিক্ষোভের জন্য বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ‘সন্ত্রাসী’দের দায়ী করলেও কোনও প্রমাণ দেননি।

গত বুধবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনকে (সিএসটিও) সহায়তা পাঠানোর অনুরোধ করেন। এই জোটে রয়েছে রাশিয়া, কাজাখস্তান, বেলারুশ, তাজিকিস্তান এবং আর্মেনিয়া।

বিদেশি এই বাহিনী কাজাখস্তানে প্রায় আড়াই হাজার সেনা পাঠিয়েছে। সিএসটিও জানিয়েছে, তাদের সেনারা শান্তিরক্ষী বাহিনী এবং তারা রাষ্ট্রীয় এবং সামরিক স্থাপনাগুলোর সুরক্ষা দেবে। রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, এই বাহিনী কাজাখস্তানে কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ অবস্থান করতে পারে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশ বাহিনী মোতায়েনের অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করছে তারা। এক মুখপাত্র বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং খোলাখুলিভাবে পুরো দুনিয়া দেখবে সেখানে কোনও মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় কিনা।’ এছাড়া কোনও কাজাখ প্রতিষ্ঠান দখলও হয়ে যাচ্ছে কিনা তাও পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানান তিনি।

কাজাখ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আলমাতি শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর ১৮ সদস্য নিহত হয়েছে। আর পুলিশ জানিয়েছে, তারা কয়েক ডজন মানুষকে হত্যা করেছে। তাদের দাঙ্গাবাজ আখ্যা দিয়েছে পুলিশ।

৫৮ বছর বয়সী নির্মাণকারী সোলে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে সরাসরি বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করতে দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মৃত্যু দেখেছি। চোখের সামনে দশ জনকে মরতে দেখেছি।’

কাজাখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রায় দুই হাজার ২৯৮ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।