শিরোনাম
নিউইয়র্ক টাইমসের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এবং নিজের ভাতিজির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিউইয়র্কের একটি আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়। ট্রাম্পের করের তথ্য ফাঁস করে দেওয়ায় এই মামলা করা হয়েছে। ট্রাম্পের ভাতিজি মেরি ট্রাম্প এসব তথ্য ফাঁস করেছেন এবং এ নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
২০০১ সালে ট্রাম্প পরিবারের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে করের তথ্য ফাঁস করেছেন মেরি ট্রাম্প। ধারণা করা হচ্ছে ১০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন ট্রাম্প। মেরি ট্রাম্পের দেওয়া করের তথ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে প্রকাশ করার ঘটনায় বেশ ক্ষুব্ধ সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের অভিযোগ, নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিকরা নিপীড়নমূলক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তারা মেরি ট্রাম্পের পেছনে লেগে থেকেছেন এবং তাকে চুক্তি ভঙ্গ করতে বাধ্য করেছেন বলেও দাবি করা হয়।
নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক সুসান ক্রেইগ, ডেভিড ব্রাটসো এবং রাসেল বাটনারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন ট্রাম্প। মেরি ট্রাম্প এবং নিউইয়র্ক টাইমসের পদক্ষেপ উদ্দেশ্যমূলক ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিকরা ট্রাম্পের আর্থিক তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিলেন। তারা একটি প্রতারণামূলক চক্রান্তের আশ্রয় নিয়েছেন।
ট্রাম্পের পারিবারিক বিনিয়োগ নিয়ে অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন করায় ২০১৯ সালে পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিলেন নিউইয়র্ক টাইমসের তিন সাংবাদিক। পুলিৎজার পুরস্কারের মনোয়ন বোর্ড পদক প্রদানের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ওই প্রতিবেদনে ট্রাম্পের নিজের তৈরি সম্পদের দাবি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে এবং কর ফাঁকি দিয়ে একটি ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তোলার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প তার বাবার রিয়েল স্টেটের সামাজ্য থেকে ৪০ কোটি ডলার বেশি পেয়েছিলেন। মেরি হচ্ছেন ট্রাম্পের বড় ভাই ফ্রেড ট্রাম্প জুনিয়রের মেয়ে। ১৯৮১ সালে ফ্রেড মারা যান।