শিরোনাম
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ও ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিসকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছেন ইরাকের জনগণ। এই দুই কমান্ডারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে ইরাকজুড়ে পদযাত্রা ও সভা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন বাহিনী ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে দুই কমান্ডারকে হত্যা করে।
ইরাকের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে লোকজন রাজধানী বাগদাদে আসেন। এরপর তারা একযোগে কাসেম সোলেইমানিকে হত্যাকাণ্ডের স্থলে যান। সেখানে তারা একটি স্মরণ সভায় যোগ দেন।
এর আগে শনিবারও জেনারেল সোলাইমানি ও আবু মাহদির স্মরণে বাগদাদে বিশাল সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে যোগ দেন ১০ লাখ মানুষ। স্মরণসভা থেকে সম্মিলিত কন্ঠে দাবি জানানো হয় যে, ইরাক থেকে সমস্ত মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।
এদিকে ২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের আইন বিভাগ। চিঠিতে কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার জন্য একটি রেজ্যুলেশন জারি করে যুক্তরাষ্ট্রকে নিন্দা ও ভবিষ্যতে অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণে নিরুৎসাহিত করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, মার্কিন সরকারগুলো বছরের পর বছর একতরফাভাবে তাদের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি লঙ্ঘন করছে তারা। ৩ জানুয়ারি জেনারেল সোলেইমানির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীকে সামনে রেখে এমন পদক্ষেপ নেয় ইরান।
জানা গেছে, ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। সর্বোচ্চ নেতা খামেনির পরেই ছিল তার স্থান। এমনকি প্রেসিডেন্ট আর সরকারের চেয়েও ইরানে তার কথার মূল্য ছিল বেশি। সোলেইমানিকে অনেকে দুনিয়ার এক নম্বর জেনারেল বলতেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বুশ আর ওবামা তাকে হত্যা পরিকল্পনা করে পিছিয়ে আসলেও ট্রাম্প তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সূত্র: প্রেসটিভি, আল-জাজিরা, পার্সটুডে