আফ্রিকার ৩ দেশের শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা বাতিল যুক্তরাষ্ট্রের

ফানাম নিউজ
  ০২ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:১২

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ও সম্প্রতি সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনার জেরে আফ্রিকার তিন দেশ ইথিওপিয়া, মালি ও গিনির শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশগুলোর ব্যাপারে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা আগেই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

স্থানীয় সময় শনিবার (১ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তর (ইউএসটিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্ট এর (এজিওএ) অধীনে বাণিজ্য সুবিধার শর্ত লঙ্ঘনের কারণে ওই তিন দেশের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উত্তর ইথিওপিয়ায় ক্রমবর্ধমান সংঘাতের মধ্যে ইথিওপিয়া সরকার এবং অন্যান্য দল কর্তৃক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, একই সঙ্গে গিনি এবং মালি উভয়ের সরকারের অসাংবিধানিক পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

এ বিষয়ে তিনটি আফ্রিকান দেশের ওয়াশিংটন দূতাবাস থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আফ্রিকার ৩ দেশের শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা বাতিল যুক্তরাষ্ট্রের

আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্ট-এজিওএ'র আওতায় যুক্তরাষ্ট্র সাব সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর রপ্তানি পণ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দেয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য রপ্তানিতে বাণিজ্য সুবিধা বাড়ার পাশাপাশি, রাজনৈতিক পরিবেশ ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। ২০২০ সালে ৩৮টি দেশ এজিওএর শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হয়।

২০০০ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সময় এই শুল্কমুক্ত বাণিজ্য আইন পাস হয়। পরে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট উভয় সরকারের সময়ই এটির সম্প্রসারণ ঘটে। ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের মতে, এটি হলো আফ্রিকার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভিত্তি।

এদিকে, শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা হারানোর কারণে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত ইথিওপিয়া আরও ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়বে বলে ধারণা করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনে এক মন্তব্যে ইথিওপিয়ার প্রধান বাণিজ্য আলোচক মামো মিহরেতু বলেন, ইথিওপিয়ার নতুন উৎপাদন খাত অস্তিত্বের হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। তাছাড়া, বাইডেনের নতুন এ পদক্ষেপ সাধারণ ইথিওপিয়ানদের অবস্থাকে কেবল আরও খারাপের দিকেই নিয়ে যাবে। ইথিওপিয়ার সংঘর্ষের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই তাদের।

সূত্র: আল-জাজিরা