শিরোনাম
ইউক্রেন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বাইডেন। জবাবে পুতিন বলেছেন, এমন কিছু করলে তা হবে ওয়াশিংটনের জন্য মস্ত বড় ভুল। বৃহস্পতিবারের (৩০ ডিসেম্বর) এক ফোনালাপে দুই নেতার মধ্যে এমন উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। তবে তারা দুজনেই আশাবাদী, কঠোর পদক্ষেপের দরকার পড়বে না, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।
এক মাসের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার টেলিফোনে কথা হলো বাইডেন ও পুতিনের। বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০ মিনিটের কথপোকথনে রাশিয়া এবং পশ্চিমাসমর্থিত ইউক্রেনের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমাতে কূটনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা।
মস্কোর পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, বাইডেনের সঙ্গে কথা বলে পুতিন ‘সন্তুষ্ট’। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়াশিংটনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের আলোচনা ছিল ভাবগম্ভীর এবং বাস্তববাদী।
আগামী ১০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে সশরীরে বৈঠক হতে চলেছে। তবে এর আগে দুই দেশের সরকারপ্রধানদের মধ্যে মতভেদ যে প্রকট, তা স্পষ্ট।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন প্যাসকি এক বিবৃতিতে বলেছে, বাইডেন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, রাশিয়া আবার ইউক্রেন আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্র, তার মিত্র ও অংশীদাররা কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে।
ইউক্রেন হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ওয়াশিংটনের অনেকবার অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে। এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উশাকভ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এমন কিছু করলে তা হবে বিশাল ভুল। আমরা আশা করি এমনটি ঘটবে না।
মস্কোর এ কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য বৈঠক থেকে সুস্পষ্ট ফলাফল আশা করছে রাশিয়া। আর যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা কাজ দেখতে চায়।
প্যাসকি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন আবারও বলেছেন, উত্তেজনা বাড়ানোর বদলে কমানোর পরিবেশেই কেবল এসব সংলাপে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হতে পারে।
সূত্র: এএফপি, জিও নিউজ