শিরোনাম
বিশ্বের প্রায় সব দেশেরই রাষ্ট্রপ্রধান এবং শীর্ষ ব্যক্তিরা নিজে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে সাধারণ মানুষকেও টিকা নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন। কিন্তু এর ব্যতিক্রম ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো।
তিনি নিজে করোনারোধী টিকা নেননি। শুধু তাই নয় সম্প্রতি বোলসোনারো জানিয়েছেন, নিজের ১১ বছর বয়সী মেয়েকেও তিনি করোনার টিকা দেবেন না। সোমবার এ কথা জানান তিনি।
এতে করে বোলসোনারো পুনরায় তার টিকা-বিরোধী দৃঢ় অবস্থান বজায় রাখলেন। তবে তার এমন অবস্থানের সমালোচনা করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এবং এতে করে তার জনপ্রিয়তা কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে ব্রাজিলে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানানো হয়েছে। বোলসোনারো জানিয়েছেন, কিছুদিনের মধ্যেই এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্সেলো কুয়েইরোগা। চলতি মাসেই শিশুদের করোনারোধী টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়।
দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য সান্তা ক্যাটারিনায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, শিশুরা এমনভাবে মারা যাচ্ছে না যে শিশুদের জন্য টিকাকে সমর্থন করে।
ব্রাজিলে শিশুদের করোনারোধী টিকা দেওয়ার বিষয়টি একটি গরম খবর। বোলসোনারোকে যারা তীব্র ভাবে সমর্থন করে তাদের অনেকেই সব ধরনের বিধিনিষেধ বা কড়াকড়ির বিরোধিতা করে আসছেন। তবে দেশটির একটি বড় অংশই টিকাকে সমর্থন করে।
গত অক্টোবরে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ আনভিসা জানায়, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য টিকার ডোজে অনুমোদন দেওয়ায় তাদের কর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বোলসোনারো আগুনে ঘি ঢেলেছেন। তিনি জানান, যেসব কর্মকর্তারা টিকার অনুমোদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের নাম তিনি প্রকাশ করে দেবেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্সেলো কুয়েইরোগা বলেন, করোনায় শিশুসহ মোট মৃত্যুর সংখ্যা টিকার জরুরি অনুমোদনকে সমর্থন করে না। এমন মন্তব্য করে তিনি এ নিয়ে বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছেন।
সে সময় তিনি জানান, শিশুদের করোনা টিকা দিতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন হবে। এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বিরোধিতা করেছেন।