ভূমধ্যসাগরে তিন দিনে চার শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার, মৃত বহু

ফানাম নিউজ
  ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৪৬

বড়দিনের ছুটির মধ্যে মাত্র তিন দিনে ভূমধ্যসাগর থেকে চার শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে জার্মান এনজিও সি-ওয়াচ। তবে সবার ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না। একই সময়ে নৌকাডুবে মারা গেছে আরও কয়েক ডজন মানুষ।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের খবর, গত সপ্তাহান্তে সব মিলিয়ে ৪৪৬ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে সি-ওয়াচ। এর মধ্যে শুধু রোববারই উদ্ধার হয়েছে ৯৬ জন। গত কয়েকদিনে গ্রিস এবং তিউনিশিয়ার কোস্টগার্ডও বেশ কিছু অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে।

সি-ওয়াচ জানিয়েছে, রোববার উদ্ধার করা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে এক অন্তসত্ত্বা রয়েছেন, তার সঙ্গে তিন বছরের একটি মেয়েও ছিল। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে এ নিয়ে পঞ্চমবার ভূমধ্যসাগরে গিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করেছে তারা। এই পাঁচ অভিযানে উদ্ধার সর্বকনিষ্ঠ মানুষটির বয়স মাত্র দুই সপ্তাহ।

মারা গেছেন কতজন?

ভূমধ্যসাগরে গত কয়েকদিনের অভিযানে কয়েকশ’ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নৌকাডুবির ফলে অনেক মানুষ মারাও গেছেন। ওইসব নৌকা অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ছিল।

বড়দিনের ঠিক আগে গ্রিসের কোস্টগার্ড দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় ২৭টি মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া, রোববার লিবিয়ার উপকূলে ভেসে গেছে ২৮টি মরদেহ। গত বুধবার ফোলেগ্যান্ড্রোস দ্বীপের কাছে একটি নৌকাডুবি হয়েছে। সেখানে তিনজন মারা গেছেন, এখনো প্রচুর মানুষ নিখোঁজ।

জাতিসংঘের হিসাবে, চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টায় অন্তত ১ হাজার ৬০০ জনের সলিলসমাধি হয়েছে।

এসব মৃত্যুর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসন নীতির কঠোর সমালোচনা করেছে সি-ওয়াচ। তারা বলেছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পার হয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছে। কেউ কেউ হয়তো পারছে, কিন্তু বাকিদের এর দাম দিতে হচ্ছে নিজেদের জীবনের বিনিময়ে।