শিরোনাম
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেছেন, শান্তিই সমৃদ্ধি ও উন্নতি আনতে পারে। ভালো কাজের মধ্য দিয়ে সহজেই একে অন্যের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করা সম্ভব। ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করলেই মানুষের জীবন সুন্দর হয়।
সম্প্রতি বড়দিন উপলক্ষে আগরতলার মরিয়মনগরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সদর মহকুমার মরিয়মনগরের শান্তি রাণী ক্যাথলিক চার্চে যীশু খ্রিস্টের জন্মদিনে বড়দিনের কেক কাটার পর এসব কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিপ্লব কুমার দেব বলেন, জীবনে সফলতার জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনার। প্রত্যেক অভিভাবকই চান তার সন্তান যেন শ্রেষ্ঠ হয়ে গড়ে উঠতে পারে। অভিভাবকদের সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতেই আগামী ২৫ বছরের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ভিশন-২০৪৭ এর রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আগামী ২১ জানুয়ারি রাজ্যে পূর্ণ রাজ্য দিবসের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান হবে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সঙ্গে সঙ্গে ত্রিপুরায় পূর্ণ রাজ্যের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপিত হবে। পূর্ণ রাজ্য দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানেই ভিশন-২০৪৭ এর রূপরেখা তুলে ধরা হবে।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২২ থেকে ২০৪৭ সাল পর্যন্ত বিশেষ করে আগামী প্রজন্মকে সঠিক দিশা দেখাতে রাজ্যে কী কী উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নেওয়া হবে তা এই রূপরেখায় তুলে ধরা হবে।
তিনি বলেন, রাজ্যের বিকাশে কৃষিক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে কৃষকদের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। ২০১৭-১৮ সালে কৃষকদের মাসিক আয় ছিলো ছয় হাজার ৫৮০ টাকা। ২০২০-২১ সালে কৃষকের আয় বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৯৩ টাকা। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে রাজ্য সরকার সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে। চলতি বছরেও সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করবে। প্রতি কেজি ধানের জন্য কৃষক পাবেন ১৯ টাকা ১৮ পয়সা করে।
অনুষ্ঠানে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী বলেন, করোনা অতিমারির প্রভাব এখনো শেষ হয়ে যায়নি। ওমিক্রন নামে নতুন রূপে করোনা বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সৌভাগ্যের কথা যে আমাদের রজ্যে এখনও ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। তবে আমাদের সকলকেই এ ব্যাপারে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্বোদয়া সামাজিক সংস্থার সম্পাদক নিতি দেব সহ আরও অনেকে। স্বাগত বক্তব্য দেন মরিয়মনগর শান্তি রাণী ক্যাথলিক চার্চের ফাদার লিনাস।