শিরোনাম
প্রায় দুই বছর ধরে চলা করোনা মহামারিতে দেশে দেশে বিপর্যস্ত হয়েছে অর্থনীতি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর্থিকখাত। সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মধ্যবিত্তের ওপর। টানা লকডাউনে চাকরি হারিয়েছেন অনেকেই। প্রভাব পড়েছে অধিকাংশ মানুষের আয়ে। এমন পরিস্থিতিতে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ব্যয় করছেন ভিয়েতনামের নাগরিকরা। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) ভিএনএক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, ভিয়েতনামে মহামারির বেশি প্রভাব পড়ে ২০২১ সালে অর্থাৎ চলতি বছরে। এই সময়ে দেশটিতে মানুষের আয় কমে যায়। তাই অপরিহার্য নয় এমন পণ্যে ব্যয় কমান দেশটির নাগরিকরা। অর্থাৎ মানিয়ে চলার একটি প্রবণতা তৈরি হয় তাদের মধ্যে।
২০২১ সালে ভিয়েতনামের এইচসিএমসি শহরের ফ্রিল্যান্সার ট্রুং হিউয়ের আয় আগের বছরের তুলনায় অর্ধেক নেমে যায়। বিশেষ করে যখন দেশটিতে করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছিল। শহরটিতে তখন চার মাস ধরে লকডাউন চলছিল। যা শেষ হয় অক্টোবরের শুরুতে। ওই সময়ে তার আয় কমে যায়।
হিউ জানান, সে সময় তাকে বাধ্য হয়ে অপরিহার্য নয় এমন পণ্যে ব্যয় কমাতে হয়। এই বছরের পরে আরও মিতব্যয়ী জীবনযাপন ও আর্থিক সক্ষমতা শক্তিশালী করার দিকে মনোনিবেশ দেওয়া কথাও জানান তিনি। কারণ অপ্রত্যাশিতভাবে যা ঘটে তার নিয়ন্ত্রণ আমরা করতে পারি না।
মহামারিতে কুউন নুহু নামের এইচসিএমসি এলাকার একজন কর্মকর্তার আয়ও অর্ধেকে নেমে আসে। বাজেট কমিয়ে আনতে হয় কাপড়, জুতাসহ কিছু খাবারের। অর্থাৎ অপরিহার্য বা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন জিনিসের ওপর ব্যয় কমান তিনি।
এইচসিএমসিতে বসবাসকারী ক্যাথি ট্রান নামের একজন ব্যবসায়ী এই বছর প্রসাধনী, ফ্যাশন পণ্য ও বিনোদনের জন্য তার ব্যয় কমিয়েছেন ৩০-৪০ শতাংশ। তবে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে তার ব্যয় বেড়েছে ২০ শতাংশ।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সংস্থা ভিয়েতনামের ১০ হাজার মানুষের ওপর একটি জরিপ চালিয়েছে। যা গত মাসে প্রকাশিত হয়। যাতে দেখা যায়, করোনার মহামারিতে ভিয়েতনামের মানুষের ব্যক্তিগত অর্থনীতিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
জরিপে উত্তরদাতাদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ জানিয়েছেন, করোনার প্রকোপে এ বছর তাদের আয় কমেছে। ৫৩ শতাংশ বলেছেন, গত ছয় মাসে অপরিহার্য নয় এমন জিনিসে তারা ব্যয় কমিয়েছেন। ৮১ শতাংশ জানিয়েছেন, আগামী বছরও তারা তাদের অপরিহার্য নয় এমন জিনসের ওপর ব্যয় কামাবেন।