শিরোনাম
ভারতে আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার ঘোষণা দিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথমে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মী, সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের। নতুন খ্রিষ্টীয় বছরের শুরুতেই ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য টিকাদানেরও ঘোষণা দেন মোদি। ওই কর্মসূচি শুরু হবে ৩ জানুয়ারি। শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বড়দিন উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মোদি বলেন, ‘করোনা এখনো পুরোপুরি চলে যায়নি। নতুন রূপ অমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খোঁজ মিলছে ভারতেও। এই পরিস্থিতিতে আমাদের করোনাবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো পুরোপুরি তৈরি। দেশে ১৮ লাখ আইসোলেশন বেড ও লক্ষাধিক আইসিইউ বেড প্রস্তুত রয়েছে।’
বুস্টার ডোজ শব্দগুচ্ছ উল্লেখ না করে মোদি বলেন, করোনার টিকা সতর্কতামূলক ডোজ ১০ জানুয়ারি থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, সম্মুখসারির কর্মীদের দেওয়া হবে। এ ছাড়া একাধিক রোগে আক্রান্ত ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদেরও চিকিৎসকের পরামর্শে টিকার অতিরিক্ত ডোজ দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, শিশুদের টিকাদান মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার কাজকে সুসংহত করবে এবং স্কুলে পাঠদান কার্যক্রমকে স্বাভাবিক করবে।
১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের চিকিৎসকেরা। শিশু চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ বলেন, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া জরুরি ছিল। এটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত। স্কুলে পাঠদান চালু হয়েছে। তাই শিশুদের বাইরে যেতে হচ্ছে। সব দিক থেকে দেখলে ছোটদের টিকাকরণের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছিল। অমিক্রনে শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে। এবার তারাও টিকা পেলে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে।
শনিবারই ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাক্স ১২ বছরের ওপরের শিশুদের শরীরে ব্যবহারের অনুমতি দেয় ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। ভারতে কয়েক দিন ধরে দৈনিক করোনা সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে। শনিবার দেশটিতে ৭ হাজার ১৮৯ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর মধ্যে অমিক্রনে আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১৫ জন।
অমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও তাতে আতঙ্কিত না হতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোদি বলেছেন, ‘ভারতে অনেক মানুষের অমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সতর্ক থাকুন, সজাগ থাকন। মাস্ক পরুন ও হাত ধোয়া অব্যাহত রাখুন।’