ইয়েমেনের সামরিক ক্যাম্পে সৌদি জোটের বিমান হামলা

ফানাম নিউজ
  ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০২:৪১

ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি জোট। জানা গেছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সানার একটি সামরিক ক্যাম্পে এ হামলা চালানো হয়। তবে হুথি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, হামলাগুলো একটি কারাগার প্রাঙ্গণ ও একটি হাসপাতালে আঘাত হেনেছে। 

আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সৌদি জোট জানিয়েছে, হামলা চালিয়ে ওই ক্যাম্পে থাকা হুথিদের সাতটি ড্রোন ও অস্ত্রের গুদাম ধ্বংস করা হয়েছে। উত্তর ইয়েমেন থেকে সৌদির লোহিত সাগর অঞ্চলের জিজানের দিকে সশস্ত্র ড্রোন চালানোর প্রতিক্রিয়ায় এ বিমান হামলা চালায় জোট।

হুথি নিয়ন্ত্রিত মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে সানার সাবাইন পাড়ায় বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ওই এলাকার বেসামরিক বাড়ি, একটি প্রসূতি-শিশু হাসপাতালের ক্ষতি হয়।

২১ ডিসেম্বর সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে রাজধানী সানার একটি বিমান বন্দরে হামলা চালায়। জোটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আন্তঃসীমান্ত বিমান হামলা চালানোর কাজে বিমানবন্দরটিকে ব্যবহার করা হতো। বিমান হামলার সময় নির্দিষ্ট কয়েকটি সাইট অর্থাৎ কিছু চিহ্নিত সামরিক স্থাপনাকে বেছে নেয়া হয়েছিল।

সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল টার্কি আল-মালকি বলেছিলেন, বিমান হামলায় ছয়টি লক্ষবস্তু, বিশেষ করে যেসব জায়গা থেকে ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হতো, ড্রোন চালানো প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন এমন মানুষজনের বাড়িঘর এবং যেসব জায়গায় ড্রোন রাখা হয় সেসব স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।

২০১৪ সালে হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে উৎখাত করে দেশটির উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ২০১৫ সালে ইয়েমেনি সরকারকে সহযোগিতা এবং বিদ্রোহীদের দমনের লক্ষ্যে ইয়েমেন যুদ্ধে যোগ দেয় সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তবে তাদের এই অভিযানে ইয়েমেনের হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ঘরবাড়ি হারিয়েছে কয়েক লাখ মানুষ।

জাতিসংঘের মতে, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট চলছে ইয়েমেনে। দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষেরই জরুরি ত্রাণসহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে তারা।

সৌদি জোটের বিরুদ্ধে লড়তে হুথি বিদ্রোহীদের ইরান অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ করে আসছে রিয়াদ। ইয়েমেন যুদ্ধে জড়ানোর পর গত কয়েক বছরে তারাও বেশ কয়েকবার সীমান্ত এলাকায় হামলার শিকার হয়েছে। সম্প্রতি সৌদির বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা বাড়িয়ে দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।