শিরোনাম
‘যার যাতে মজে মন, কিবা হাড়ি কিবা ডোম।’ প্রণয়ের রীতিভাঙার স্পর্ধা নিয়ে এমন কথাই প্রচলিত আছে। তাই বলে জামাই-শাশুড়ি? পশ্চিমবঙ্গে এমন অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটেছে। জামাইয়ের সঙ্গে সংসার বাঁধতে তার হাত ধরে পালিয়েছেন শাশুড়ি। যা নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজ্যজুড়ে।
গত শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) পালিয়ে গেছেন রাজ্যের হাওড়া জেলার লিলুয়া থানার বাসিন্দা ওই দুজন। শাশুড়ির নাম শেফালী দাস, জামাইয়ের নাম কৃষ্ণগোপাল দাস। তাদের সন্ধান চেয়ে এবং বিচার দাবিতে লিলুয়া থানা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শেফালীর স্বামী বাবলা দাস ও মেয়ে (কৃষ্ণগোপালের স্ত্রী) প্রিয়াঙ্কা দাস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লিলুয়া থানার অন্তর্গত জগদীশপুর নতুন বিশ্বাস পাড়ার বাসিন্দা বাবলা দাস পেশায় ভ্যানচালক। ২০১৭ সালে তার মেয়ে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে রামপুরহাটের বাসিন্দা কৃষ্ণগোপালের বিয়ে হয়। কাজের সূত্রে তিনি ঘরজামাই হিসেবে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। এই সুযোগেই শেফালী দাসের সঙ্গে তার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
প্রিয়াঙ্কা দাস তার লিখিত অভিযোগে জানান, বিয়ের পর থেকেই স্বামী কৃষ্ণগোপাল তাকে মারধর করতেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতেন। তিনি তার স্বামীর কার্যকলাপ জেনে গেলে মারধর আরও বেড়ে যায়। এমনকি নিজের বাড়িতে প্রিয়াঙ্কাকে রেখে কৃষ্ণ থাকতেন শ্বশুরবাড়িতে। এই সুযোগে শেফালী ও কৃষ্ণের ঘনিষ্ঠতা আরও বেড়ে যায়, যার জেরে দুজন শনিবার পালিয়ে গেছেন।
অভিযোগটি পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।