শিরোনাম
ব্রিটিশ সরকারের ব্রেক্সিট মন্ত্রী লর্ড ফ্রস্ট পদত্যাগ করেছেন। সম্প্রতি দেশটির ভ্রমণ বিধিনিষেধ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্রেক্সিট আলোচনায় যুক্তরাজ্যের পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া ফ্রস্ট দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে এক চিঠিতে পদত্যাগের বিষয়টি জানান। এতে তিনি বলেন, আমি আশা করছি করোনা মোকাবিলায় আপনি (বরিস) কোনো জোরজবরদস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেবেন না। খবর বিবিসির।
শনিবার যুক্তরাজ্যে নতুনভাবে ৯০ হাজার ৪১৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এসময় ওমিক্রন শনাক্ত হয় ১০ হাজারের বেশি মানুষের। বিজ্ঞানীরা সতর্কতা জারি করে জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা তিন হাজারে পৌঁছাতে পারে।
ফ্রস্টের পদত্যাগের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেন, তিনি জনগণের একজন অসাধারণ সেবক ছিলেন। তবে তিনি যে কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন তা সঠিক নয়। কিন্তু তার সিদ্ধান্তকে আমাদের সম্মান জানাতে হবে। আরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে কি না সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে লেবার পার্টির ডেপুটি লিডার অ্যাঞ্জেলা রেইনার বলেন, দেশ যখন একটি সংকটে তখন এমন পদত্যাগের মাধ্যমে প্রমাণ হয় সরকারের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে।
সরকারের আরোপ করা করোনা বিধিনিষেধের কারণে এক সপ্তাহ আগে তিনি তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া চিঠিতে ফ্রস্ট লিখেছেন, জনসন একজন অসাধারণ নেতা। ব্রেক্সিটের সময় জনসনের পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন লর্ড ফ্রস্ট।
তিনি বলেন, ব্রেক্সিট এখন অনেক নিরাপদ। বরিসকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, করোনার বিধিনিষেধ নিয়ে আপনি আমার বর্তমান উদ্বেগ সম্পর্কে অবগত আছেন।